এই মুহূর্তে বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ রাজদীপ গুপ্ত। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তাঁর অবাধ বিচরণ। ‘পঞ্চমী’র সঙ্গে পাঁচ বছর পর ছোটপর্দায় ফিরেছিলেন রাজদীপ, তবে ৭ মাসেই সেই সফর শেষ হয়েছে। মাস কয়েক আগেই মা-কে হারিয়েছেন অভিনেতা। মায়ের মৃত্যু, পঞ্চমীর সফর শেষ, নতুন🍷 শুরুর অপেক্ষায় রাজদীপ। এর ফাঁকেই আড্ডা দিলেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে।
সম্প্রতি ব্য়ক্তিগত জীবনে বিরাট ঝড় বয়ে গিয়েছে। সবটা সামলে কেমন আছো?
রাজদীপ: আমার জীবনের একটা বিশা📖ল ♐বড় চেঞ্জ। এটাকে (মায়ের মৃত্যু) মেনে নিতে একটু সময় তো লাগবেই। আপতত বাবাকে নিয়েই রয়েছি।
নিজেকে সময় দিচ্ছো?
রাজদীপ: জি🐷মটা করা হয়নি দেড়-দু বছর। মনে হচ্ছিল নিজেকে সময় দেওয়াটা দরকার। তো শরীরচর্চা চলছে। বাবাকেও এখন সময় দেওয়াটা দরকার। সেটাই করছি। নিজেকে আর বাবাকে অনেকটা সময় দি🍌চ্ছি।
'পঞ্চমী' থেকে তোমার বিদায় ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হইচই তৈরি হয়েছে। সেটা নিয়ে কী বলবে?
রাজদীপ: প্রচুর খবর পড়েছি আমি। কিছু হাস্যকর লেখাও পড়েছি। 𝕴খারাপ-ভালো সবরকম লেখালেখি হয়েছে। মেগা সিরিয়ালের ট্র্যাক তো ফিক্স থাকে না। লেখক হামেশাই গল্প বদলাতে থাকেন। আমি কিন্তু শুরু থে꧒কেই জানতাম, কিঞ্জল চরিত্রটা গল্পের মাঝপথে মারা যাবে। সেটা কবে যাবে, কীভাবে যাবে জানা ছিল না। সেটা হয়েছে ৭ মাস পর। এখন তো মেগা দু মাস, তিন মাসে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সে জায়গায় আমরা সাত মাস পার করে ফেলেছি।
মেগা সিরিয়াল শুরু থেকেই নারীকেন্দ্রিক, হিরোরা সিরিয়ালে উপেক্ষিত, সেটা মনে হয়?
রাজদ🌠ীপ: প্রত্যেকটা চরিত্রেরই ভালো সিন আসে। আমরা সেটার অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই সিরিয়াল নারীকেন্দ্রিক। কারণ আমাদের দর্শকরা ঠাকুমা-দিদিমা, মা-কাকিমারা। ড্রয়িং রুম ড্রামা মানেই নারীকেন্দ্রিক, তবে কোথাউ গিয়ে পুরুষদেরও একটা ইনভলভমেন্ট তৈরি হয়।
‘ওগো বধূ সুন্দরী’র ঈশান হিসাবে শুরু, ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪ বছর অতিক্রান্ত। ঈশান থেকে কিঞ্জলের জার্নিটা কীভাবে দেখো?
রাজদীপ: আমি তো নিজেই বুঝে উঠতে পারি না কোথা থেকে এতগুলো বছর কেটে গেল।꧙ কেটে গেছে আর কী! আমি খুশি, কিন্তু হ্যাঁ স্যাটিসফায়েড নই। অনেক কিছু করা বাকি আছে। সবরকম💫ই কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার কোনও ফিক্সড মাইন্ডসেট ছিল না শুরু থেকেই। যেমন সুযোগ এসেছে, সেগুলোর সদ্বব্যবহারের চেষ্টা করেছি।
কেরিয়ারের গোড়াতেই ব্লকবাস্টার মেগা ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ থেকে মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছিলে, আজ আফসোস হয়?
রাজদীপ: তখন খুব ছোট ছিলাম। একটা সমস্য𝔉ার মধ্যেও ছিলাম শরীরও খুব খারাপ ছিল। তখন জানতাম নাম, বুঝতাম না। ভাবত🔯ে পারিনি ওটা ওইরকমভাবে বিষয়টা উপস্থাপিত হবে। হ্যাঁ, আফসোস হয়, অস্বীকার করব না। যে কোনও শো-এর শেষ অবধি না থাকতে পারাটা আফসোসের। কিন্তু আজ সেই অতীত টেনে ভুল খবর ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি নাকি সব শো মাঝপথে ছেড়ে দিই।
রাজদীপ মাঝপথে সব সিরিয়াল ছেড়ে দেয়, এই রটনা নিয়ে কী বলবে?
𓆏রাজদীপ: এটা একদম ভুল কথা। ‘ও গো বধূ সুন্দরী’ ছাড়া আমি কোনও শো ছাড়িনি। সব শো-এ আমি শেষ পর্যন্ত থেকেছি, একটা শো-তে আমার চরিত্র মাঝপথে মারা গিয়েছে ব্যাস এইটুকুই। কেউ আমাকে ফোন করে তো খবর করেনি। নিজের মতো করে মিথ্য়ে নিউজ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব চাপের। দর্শককে আমরা যা দেখাচ্ছি, সেটা বিশ্বাস করছে সবাই।
আমার মায়ের প্রসঙ্গ তুলে পর্যন্ত লিখেছে। আমি নাকি মেন্টালি ডিসটার্ব রয়েছি। এতটাই ডিপ্রেশনে রয়েছি তাই কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমার যদি কাজ ছাড়ার হতো, তাহলে তো আমি তিনমাস আগেই ছাড়তাম যখন মা হাসপাতালে ছিল। সেইসময় আমি সারা রাত হাসপাতালꦓে থেকেছি, সকালে সেটে গিয়ে শ্যুটিং করেছি। ব্যক্তিগতভাবে এই খবরগুলো পড়তে খুব খারাপ লাগে।
ওটিটির হিট হিরো, টেলিভিশনে সফল কেরিয়ার কিন্তু ফিল্মের জগতে সাফল্য আসেনি। কী বলবে?
রাজদীপ: একটা সময় আফসোস ছিল। শুরুর দিকে অনেক সিনেমা করেছি, যখন আমি বুঝতাম না। যা অফার পেয়েছি আমি গ্রহণ করেছি। সেইসব সিনেমা বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে চলেছে। আমি আসলে নিজেকে কমার্শিয়্যাল ছবির হিরো হিসাবে কোনওদিন দেখেনি꧂। সেই চেষ্টাও ছিল না। এরপর যখন ওটিটিতে কাজ করা শুরু করলাম, দেখলাম আমি সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছি এখানে। কাজ করে আমি🎶 তৃপ্ত। তবে ইটস নেভার টু লেট। যদি ভবিষ্যতে ভালো সুযোগ পাই ছবিতে নিশ্চয়ই করব।
রাজদীপের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা এত কম শোনা যায় কেন? এখন কি সিঙ্গল?
রাজদীপ: শেষ দেড় বছর আমি পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমার পরিস্থিতিই এমন ছিল। আমার মনে তেমন কিছু আসেনি। এখন আমি হ্যাপিলি সিঙ্গল। কাজে মন দিতে চাই। এখনই সেটেল হওয়ার কোনও প্ল্যান নেই। এই মাসটা নিজেকে সময় দিচ্ছি। পরবর্তী কাজ নিয়ে কিছু ভাবনি এখনও। বাবাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। যদি বাবাকে রাজি করাতে পারি। তারপর কোনও বাদবিচার নেই, যেཧ প্ল্য়াটফর্ম থেকে ভালো কাজের অফার আসবে আমি সেখানেই কাজ করতে আগ্রহী।