🌠 শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। বিশেষ করে, যখন থেকে খবর এসেছে যে শোভনের হয়ে এবার ডিভোর্সের মামলা লড়বেন দুঁদে রাজনীতিবিদ, তৃণমূল সাংসদ-রাজনীতিবিদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনের হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই, রত্না রেগে লাল। রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে।
ꩲশুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে শোভনের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, 'রত্না প্রভাবশালী, ইচ্ছে করে শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছে না'! তবে চুপ নেই রত্নাও। তিনিও একেবারে বোমা ফাটাতে তৈরি। দ্যা ওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করে বসলেন, ‘আমি তো কল্যাণদার (বন্দ্যোপাধ্যায়) কথাতেই শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছি না!’
𒁏রত্না আরও দাবি করেন, ‘হাইকোর্টে কল্যাণদা আমাকে ১ ঘণ্টা ধরে কত পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'বৈশাখী সভ্য নয়, কত সংসার ভেঙেছে তার ঠিক নেই! শোভনকে ডিভোর্স দিবি না, তুই লড়াই কর! আমি তোর পাশে আছি!' সেই কল্যাণদা পাল্টি খেয়ে গেলেন!’
💃এমনকী, রত্না টেনে আনলেন কল্যাণের ডিভোর্সি মেয়েকেও। শোভন-পত্নী বললেন, ‘কল্যাণবাবুও মেয়ের বাবা। তার মেয়েরও ডিভোর্স হয়ে গেছে। একদিন হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে আমাকে বলেছিলেন, 'দুলালদার (রত্নার বাবা) কষ্টটা আমি বুঝত পারছি। আমার মেয়েরও তো ডিভোর্স হয়েছে'। সেই কল্যাণদার দ্বিচারিতা ভাবুন।’
🐽এদিকে, এই ঝামেলার চক্করে পড়ে, দলের অন্দরেই কোন্দল। এর আগেও তৃণমূলের নেতারা পরস্পরকে নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি কম করেননি। কুণাল ঘোষ বনাম দেব, কাঞ্চন মল্লিক বনাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনা করওরই অজানা নয়। এবার তাতে নতুন সংযোজন, রত্না বনাম কল্যাণ।
𒈔তবে চুপ নেই শোভনও। বিগত ৭ বছর ধরে এমনিতেও তিনি ডিভোর্স পেতে আকূল হয়ে রয়েছেন। এমনকী, দীর্ঘ সহবাস করার পর, বান্ধবী বৈশাখীকে বিয়েও আটকে আছে এই চক্করেই। তাই স্ত্রী-র মুখে ‘বৈশাখী সভ্য নয়’ শুনেই জ্বলে উঠলেন তেলেবেগুনে। তিনি জানিয়েছেন, ‘কে সভ্য নয় সারা দুনিয়া জানে। রত্না তো সংসার বলে কিছু রাখেইনি। তো বৈশাখী ভাঙবে কী। রত্নার মুখের ভাষা খারাপ, আলিপুর আদালত চত্বরে বা তার বাইরে রত্না কী ভাষায় কথা বলেছে, সবাই দেখেছে।’
🎶তবে শোভনের পাশে কল্যাণ দাঁড়াক বা অন্য কেউ, রত্না এখনওনিজের সিদ্ধান্তে অনড়। কিছুতেই তিনি ডিভোর্স দেবেন না শোভনকে। তাঁর যুক্তি, ‘কেন ছাড়ব? আমার স্বামী, আমি তো সব সময় তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছি। আর দুটো ছেলে-মেয়েকে আট বছর ধরে সামলাচ্ছি। বাবা তো খোঁজই নেয় না। ওদের নম্বর পর্যন্ত ব্লক করে রেখেছে।’