করোনা তার দ্বিতী𓄧য় ঢেউয়ের ধাক্কায় শুধুই নাকানি চোবানি খাওয়ায়নি, পাশাপাশি বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ। শারীরিক ও মানসিকভাবে। অর্থনৈতিকভাবে তো বটেই। করোনা সংক্ৰমণ রুখতে ইতিমধ্যেই নানান রাজ্যের জারি হয়েছে লকডাউন। এবং দেশজুড়ে প্রায় স্তব্ধ হয়ে রয়েছে বিনোদন জগৎ। প্রেক্ষাগৃহগুলো তো বটেই। পাশাপাশি শ্যুটিং বন্ধ হওয়াতে সবথেকে বিপদ পড়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জুড়ে থাকা দিন আনি দিন খাই রোজগেরে মানুষের দল। এঁদের মধ্যে অতি অবশ্যই রয়েছেন 'স্টান্টম্যান'-রা।
লকডাউন ঘোষণার ফলে দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলস্বরূপ কার্যত বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য স্টান্ট শিল্পী, যাঁদের রোজগার মূলত প্রতিদিনের শ্যুটিংয়ের নিরিখে হতো। এঁদের অনেকেই 'স্টান্ট' ছাড়া অন্য কোনও কাজ না জানায় পড়েছেন চরম বিপদে। আধপেটা হয়েও থাকছে এঁদের কারও কারও পরিবার। গত বছর কেন্দ্রের তরফে শ্যুটিংয়ের নির্দেশ পাওয়া গেলেও করা নিয়ম মেনে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সব স্টান্ট শিল্পীদের শ্যুটিং ফ্লোরে উপস্থিত হওয়ার উপায় ছিল না। তাই কাজ পেয়েছিলেন হাত🌺ে গোনা মাত্র কয়েকজন শিল্পীই।
এবার এই শিল্পীদের সাহায্যার্থ♎ে এগিয়ে এলেন সলমন খান এবং নেটফ্লিক্স। মুভি স্টান্ট আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন- সংস্থার তালিকাভুক্ত সব স্টান্ট শিল্পীদের সাহায্য করবেন সলমন এবং নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া। খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এজাজ গুলাব। সম্প্রতি, এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে সলমন খানের থেℱকে অর্থ সাহায্য আসা শুরু হয়েছে। সেইসব অর্থ সংস্থার তালিকাভুক্ত প্রতিটি স্টান্ট শিল্পির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে। তিনি আরও জানালেন যে তাঁদের সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে নেটফ্লিক্সও। তাই সেই সাহায্য পেলে আপাতত যে খানিকটা হলেও স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলবেন স্টান্ট শিল্পীরা, সেকথা বলাই বাহুল্য।