🍷 মুম্বই পুলিশ সোমবার ৮ জুলাই সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর কেসে চার্জশিট পেশ করল স্পেশ্যাল কোর্টে। জানা গিয়েছে এই চার্জশিটে মোট ৯ জনের নাম রয়েছে। যেখানে রয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়েরও নাম! হ্যাঁ, যদিও সে এখন জেলে তবুও তাঁর নাম রয়েছে এই চার্জসশিটে।
আরও পড়ুন: 🌠'আরও একবছর কমলো...' স্ত্রী ডোনাকে পাশে নিয়ে লন্ডনে জন্মদিন পালন সৌরভের, সানা ছিলেন সঙ্গে?
⛄ মুম্বই পুলিশের তরফে এদিন ১৭৩৫ পাতার একটি চার্জশিট পেশ করা হয় যেখানে ৬ জন যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের নাম সহ রয়েছে আরও ৩ জনের নাম। পুলিশের তরফে এদিন তদন্ত চলাকালীন যে সমস্ত তথ্য তাঁরা হাতে পেয়েছেন সেগুলোও জমা দেওয়া হয়েছে।
𝔉 এই তথ্যে রয়েছে ৪৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। এই সমস্ত বয়ান আইপিসির ১৬৪ সেকশনের আওতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর স্বীকারোক্তিগুলো মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড অ্যাক্টের অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ২২টি পঞ্চনামা এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল এভিডেন্স রয়েছে।
♉ একই সঙ্গে এই ঘটনায় উল্লেখ রয়েছে দুটো বাইকের যেগুলো এই ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গত ১৪ এপ্রিল রাতে গুলি চালানোর জন্য।
🥂 এছাড়াও পুলিশের তরফে জানানো যে অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে সেখানকার একাধিক কণ্ঠস্বরের সঙ্গে একটি কন্ঠস্বর লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। এটা নিশ্চিত করতে তাঁরা এই অডিও ক্লিপকে ফরেনসিক ল্যাবেও পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: 🌞অনন্ত-রাধিকার গায়ে হলুদে সোনালি চুড়িদারে যেন রাজরানি নীতা আম্বানি, কেমন সাজলেন আকাশ, মুকেশরা?
আরও পড়ুন: 𝓀হাজার চুরাশির মায়ের উপর ভিত্তি করে আসছে দেবালয়ের নতুন সিরিজ, মা ছেলের গল্প বলবেন অনন্যা-সৌরভ
📖 আনমোল বিষ্ণোই বর্তমানে কানাডায় থাকেন। তিনি এই ঘটনা ঘটানোর দায় স্বীকার করেছেন। এর আগেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল আনমোল বিষ্ণোই শুটারদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন এই কাজ করতে।
সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর জন্য পাকিস্তান থেকে বন্দুক বানানো হয়েছে
🌟নবি মুম্বইয়ের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্তরা সকলেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই চার্জশিটে জানানো হয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে একটি ২৫ লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের যাতে তাঁরা সলমন খানকে হত্যা করেন। ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে পাকিস্তান থেকে এই গ্যাং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আনিয়েছে এবং আরও আনানোর প্ল্যান করেছিল যার মধ্যে ছিল একে ৪৭, একে ৯২, এম ১৬ রাইফেল, তুরস্কের বিখ্যাত জিগানা পিস্তল, ইত্যাদি। এই জিগানা পিস্তল দিয়েই ২০২২ সালের ২৯ মে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুজওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছিল।