টলিপাড়ায় মাঝে মাঝেই নানা তারকা-সন্তানদের পর্দায় নজর কাড়তে দেখা যায়। শাশ্বত কন্যা হিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। শোনা গিয়েছে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় ডেবিউ হতে চলেছে তাঁর। অভিনয় জগতে পা রাখার আগে সিনিয়র অ্যাক্টর ও বাবা হিসেবে মেয়েকে কী পরামর্শ দিয়েছেন শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়?
এইসময় অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি একটা জিনিসই বলেছি, যেটা আমার বাবা (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) আমাকে বলেছিলেন। বলেছি সাকসেসের পিছনে ছুটতে যাবি না। নিজের কাজটা মন দিয়ে করবি। আমাকে আমার বাবা গ্রুপ থিয়েটারে যুক্ত করে দিয়েছিলেন। আর কিছু বলেননি। নিজেকেই যা করার করতে হয়েছে।’
তারপরই অভিনেতা তাঁদের প্রজন্মের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতাদের কী পার্থক্য রয়েছে সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বর্তমান জেনারেশন অনেক বেশি তৈরি হয়ে নামছে। আমার মেয়ের (হিয়া চট্টোপাধ্যায়) মধ্যেও সেটা দেখেছি। আমি জীবনে কোনও দিন পোর্টফোলিও তৈরি করিনি। কিন্তু আমার মেয়েকে দেখেছি, গোড়া থেকেই প্রচণ্ড ভাবে নিজেকে তৈরি করেছে। নিজে থেকেই নাচও শিখেছে, যেটা আমার বা আমার বাবার রক্তে কোনও দিন ছিল না। আমি ওর স্কুলে থিয়েটারও দেখেছি, ভালোই মনে হয়েছে। আর ও চাইলে আমি হস্তক্ষেপ করব, না হলে কিচ্ছু বলব না। আমি এখনও পর্যন্ত কিন্তু কোনও ডিরেক্টরকে বা প্রোডাকশন হাউসকে ওর কথা বলিনি।’
প্রসঙ্গত, রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে শ্বাশত কন্যাকে ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ খ্যাত অভিনেতা ঋত্বিক ভৌমিকের বিপরীতে দেখা যাবে। এই ছবির হাত ধরে তিনিও বাংলা ছবিতে ডেবিউ করতে চলেছেন। এছাড়াও দেখা যাবে ‘পারিয়া’ খ্যাত অভিনেতা সৌম্য মুখোপাধ্যায়কেও।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্রেই হয়েছিল ছবির শ্যুটিং, ট্যাঙ্ক থেকে অস্ত্র সব ছিল আসল, বলুন তো এটা কোন ছবি?
তবে রাহুলের ‘মন মানে না’ ছবির সব থেকে বড় আকর্ষণ হতে চলেছেন হিয়া। শাশ্বত দর্শকদের খুব প্রিয় একজন অভিনেতা। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মেয়েকে বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকবেন দর্শকরা। হিয়াও এই সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি। প্রথম প্রথম কিছুটা নার্ভাস লাগলেও তিনি ছোট থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সুযোগটি হাতছাড়া করেননি তিনি। দাদু এবং বাবার পর হিয়া হতে চলেছেন বংশের তৃতীয় প্রজন্ম, যিনি টলিউডে অভিনয় করতে চলেছেন।
ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে তৈরি হবে এই সিনেমা। যদিও ওই একই নামে আরও দুটি ছবি রয়েছে বাংলায়। কিন্তু এই ত্রিকোণ প্রেমের মধ্যে একটি তরতাজা ব্যাপার আছে বলে মনে করছেন পরিচালক। নতুন প্রজন্মের নায়ক নায়িকাদের নিয়ে তৈরি হওয়া এই সিনেমাটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলেই আশাবাদী তিনি।