একটা সময় টেলিপাড়ার অন্যতম ‘হ্যাপেনিং কপল’ ছিলেন সৌরভ-মধুমিতা। ‘বোঝে না 🐓সে বোঝে না’ চলাকালীনই প্রেমিক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে চুপচাপ আইনি বিয়ে (২০১৫) সেরে নিয়েছিলেন ‘পাখি’। কিন্তু ২০১৯-এর শেষের দিকেই সামনে আসে এই জুটির বিচ্ছেদের খবর। তা সকলকে চমকে দিয়েছিল! ক্যামেরার সা♕মনে নয়, ক্যামেরার পিছনেই বেশি স্বচ্ছন্দ সৌরভ। ইতিমধ্যেই ‘জাপানি টয়’, ‘ধানবাদ ব্লুজ’, ‘শব্দ-জব্দ’র মতো সিরিজ পরিচালনা করেছেন মধুমিতার প্রাক্তন।
সৌরভের এই ইন্ডাস্ট্রিতে হাতেখড়ি হয়েছিল ছোটপর্দার নায়ক হিসাবে। ‘সবিনয় নিবেদন’, ‘বধূ কোন আলো লাগল চোখে’,'মেম বউ'—এর মতো হিট মেগা তাঁর ঝুলিতে। তবে অভিনয়ের চেয়ে পরিচালনার দিকেই꧒ তাঁর ঝোঁক বেশি। সদ্য়ই জি ফাইভের ‘শ্বেতকালী’ সিরিজে অভিনয় করেছেন সৌরভ। কারণ ভালো কাজের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না সৌরভ। একটা অদ্ভূত নিয়ম মেনে চলেন সৌরভ, যে সিরিজ তিনি পরিচালনা করবেন সেখানে মুখ দেখাবেন না। এমনটা ঠিক করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, অভিনয় নিয়ে তিনি একদম অবসেসড নন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘পরিচালনা যেমন আমার প্রেম, তেমনই আবার অভিনয়ও আমার ভালবাসা। তবে হ্যাঁ, আমি যে প্রজেক্ট পরিচালনা করি, সেই সিরিজ়ে অভিনয় করতে চাই না।’ ‘শ্বেতকালী’ সি🐲রিজে দীর্ঘদিনের বন্ধু ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি সৌরভ। এই সিরিজেই প্রথমবার জুটিতে সৌরভ-ঐন্দ্রিলা।
সৌরভের অনস্ক্রিন জোড়িদার হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে নিঃসন্ꦍদেহে মধুমিতা সরকার। একটা সময় ক্যামেরার সামনে এই জুটির রসায়ন মুগ্ধ করেছিল বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের। ‘সবিনয় নিবেদন’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। সে একযুগ আগের কথা, তবুও স্মৃতি আগলে রেখেছেন অভিনেতা-পরিচালক।
মধুমিতার সঙ্গে 💫ফের অভিনয়ের সুযোগ এলে হ্যাঁ বলবেন সৌরভ? অভিনেতার জবাব, ‘আমার কোনও অসুবিধা নেই।’ ব্যক্তিগত সমীকরণ পেশাদার জীবনে প্রভাব ফেলবে না বলেই বিশ্বাসী সৌরভ। শব্দ-জব্দ পরিচালক জানালেন,'অনেকদিন আমরা আলাদা থাকি, কোনও পরিচালক যদি মনে করে🐎ন একসঙ্গে আমাদের ভালো লাগবে, সেই কাজের ক্ষেত্রে আমার তো সমস্যা নেই'।
সৌরভের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সৌরভ দাসের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মধুমিতার। তবে সেই সম্পর্কের গুঞ্জন এখন অতীত। মধুমিতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমি এখন সিঙ্গল’। ডিভোর্স প্রসঙ্গে মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘হয়ত আমা✱দের প্রেফারেন্সটা আলাদা ছিল, আমি সত্যি বলতে পারব না। আমি খুব রোম্যান্টিক মানুষ, একদম খাদের কিনারায় না চলে যাওয়া অবধি ওই সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখবার চেষ্টা আমি করেছিলাম। এꦍখন মনে হয় ওই বিয়েটা ভেঙে আরও আগে বেরিয়ে আসা উচিত ছিল’।