আরজি কর কাণ্ড আর রাজ্যে একের পর এক ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুরু থেকেই তিনি সরব। আর এই প্রতিবাদেই এবার তিনি পুজোতেও নেই, উৎসবেও নেই, একথাই সাফ জানিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। সেই ম😼তো তিনি পুজোতে যোগও দেননি। তবে অভিনেত্রী যে আবাসনে থাকেন, সেখানে কিন্তু এবারও পুজো হচ্ছে। আর🥃 তাতেই বেশ বিরক্ত শ্রীলেখা।
৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন নিজের আবাসনের পুজো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী। আবাসনের কমিউনিটি হলে হওয়া দুর্গাপুজো মণ্ডপের ভিডিয়ো দেখিয়ে শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের এখানে পুজো হচ্ছে এবার, আরও বড় করে হচ্ছে। আমি যে বাড়িতে থাকি, হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, যেখানে কুকুর নিয়ে আমার সঙ্গে অসভ্যতামো করেছিল যে লোকজনেরা, এবার সেখানে আরও বড় করে পুজো হচ্ছে। আনন্দে, বাড়ির মা-বোনেরা রেপড (ধর্ষিতা) হচ্ছেন, খুন হচ্ছে, আর এখানে দুর্গাপুজো হচ্ছে দেখুন। এই লোকজনের সঙ্গে আমি থাকি। হয় আমার মাথা খারাপ, নয় এদের। এদের আনন্দের আতিশয্য দেখে লজ্জা লাগে আমার। যে কওেন আমি এখানে ফ্ল্যাটটা কিনতে গেলাম।’
ভিডিয়োটির ক্যাপশানে শ্রীলেখা লেখেন, ‘আচ্ছা আমি কি ভিনগ্রহের প্রাণী? কেনও বাকিদের মতো হব না? হলেতো আমারও খানিক সুবিধে হত, কেন নিজের সুবিধেটুকু বুঝলাম না? সমস্যা আমার নꦺাকি বাকি সমাজের? মানিয়ে নিতেই পারলাম না কোনও কিছুর সঙ্গে।'
শ্রীলেখার এই ভিডিয়ো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। একজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখেই গায়ে ꦜজ্বালা হচ্ছে.... আর আপনি তো ওখানে সশরীরে থাকছেন!’ এই কমেন্টে পাল্টা কমেন্টও করেছেন শ্রীলেখা। লিখেছেন, ‘গত ৫ বছর ধরে আমি পুজোর চাঁদা দিইনি।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘সব জায়গাতেই কমবেশি একই চিত্র.. নিজের Apartme꧅nt-er পরিস্থিতিকে আলাদা ভেবে মন খারাপ কোরো না.. এখানকার এইসব পুজোর নামে শুধু অন্তঃসারশূন্য লোকদেখানো কিছু মেকি জৌলুস.. এদের ignore করাই শ্রেষ্ঠ পথ..আমিও তাই করি.. দূর থেকে প্রণাম করে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাই..। যারা মন থেকে প্রতিবাদ করছেন তাদের উৎসব সার্থকতা ওই অন্যায়ের প্রতিবাদের মধ্যে, যেখানে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আছে, শুধু চার দিনের কৃত্তিম বাণিজ্যিক আয়োজনে সীমাবদ্ধ নয়..’।
আরও একজন লিখেছেন, ‘আমাদের এই সমাজের কোনো পরিবর্তন হবে না। না হওয়ার যোগান মদত দেয় ক্ষমতায় থাকা প্রশাসন। আমরা লজ্জিত হই কয়েকটা হাতে গোনা শিক্ষিত ব্যক্তিরা। আমরা অনুতপ্ত হই সম༺াজ ব্যবস্থা দেখে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সেটাও হাতে গোনা কয়েকটা ব্যক্তি। আমাদের এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলা ছাড়া হয়তো আমরা কিছুই পারবো না। তবুও আমরা ভাববো কারণ যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে সত্যের জন্য লড়াই চলতে থাকবে। আর এই কয়েকটা হাতে গোনা ব্যক্তি আছে বলেই এই সমাজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পরেনি। এবং ক্ষমতায় থাকা প্রশাসন সে কিছু করার আগেও ভাবতে হবে।’ এমনই অসংখ্য কমেন্ট ও নেটিজেনদে🥀র সমর্থন পেয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।