সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাতে ওস্তাদ শ্রীলেখা মিত্র। কালীপুজোর ঠিক আগেও স্পষ্টবাদী, ঘোষিত বাম সমর্থক শ্রীলেখার নিশানায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কালীপুজোর ঠিক আগে পশুপ্রেমী শ্রীলেখা একদিকে যেমন পথকুকুরদের উপর অত্যাচার না করা, শব্দবাজি না ফাটানোর বার্তা দিতে ব্যস্ত তেমনই মনে মনে প্রার্থনা করছেন, ‘১৪ তলা নিপাত যাক’। আরও পড়ুন-তন্ময়ের ছোঁয়া কখনো ‘খার🦹াপ’ লাগেনি, বলে চর্চায় শ্রীলেখা! এবার লিখলেন, ‘গতকাল থেকে নারী সম্মান নিয়ে…’
এদিন ফেসবুক🎶 পোস্টে শ্রীলেখা লেখেন, ‘চৌদ্দ বাতি , চৌদ্দ শাক । চৌদ্দ তলা , নিপাত যাক’। শ্রীলেখার এই পোস্টে চৌদ্দ তলা দেখে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার জন্য, নবান্নের চৌদ্দ তলায় বসা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনের অবসানের কথাই উঠে এসেছে তাঁর পোস্টে।
শ্রীলেখার পোস্টে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘এটা দারুণ’। শ্রীলেখা ভক্তদের চোখে এই পোস্ট ‘সেরা’। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় থাকা সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে মন্তব্য করে চর্চায় শ্রীলেখা মিত্র। প্রাক্তন বাম বিধায়কের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁর কোলে বসে পড়♋েন বাম নেতা। এই ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপির নিশানায় বামেরা। তন্ময়কে ত꧙ড়িঘড়ি সাসপেন্ড করেছে সিপিএম।
দলের সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন শ্রীলে🥃খা। তবে ব্যক্তিগতভাবে ‘তন্ময়দার স্পর্শকে কখনও ব্যাড টাচ মনে হয়নি’ বলেই মন্তব্য তাঁর। আজতক বাংলাকে তিনি বলেন, ‘তন্ময়দা সবার সামনেই হাসি ইয়ার্কি ঠাট্টা করেন। মজা করেন। চিরতরুণ একটা হাবভাব আছে ওঁর মধ্যে। ফলে সেই দিক দিয়ে দেখলে তন্ময় দার কাছে কোনও মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা কোনও আহামরি ব্যাপার না। আমি কখনও ওকে কোলে বসতে দেখিনি। ওঁর কোনও স্পর্শ আমার ব্যাড টাচ মনে হয়নি।’
সঙ্গে শ্রীলেখা যোগ করেন, ‘তবে তন্ময𝓰়দার ইয়ার্কির পাত্রী মেয়েটা (মহিলা সাংবাদিক) হতে পারে না। আর মেয়েটা বারণ করলে তো ইয়েস মিনস ইয়েস, নো মিনস নো চলে আসছে। এই বিষয়টা আমি না পারছি সম্পূর্ণ গ্রহণ করতে না পারছি এড়িয়ে যেতে।’