🐷 মাসখানেক আগে শ্রীলেখা মিত্র একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ছিল মেয়েদের ব্রা-এর ফিতে বেরিয়ে গেলে যেভাবে নোংরা ট্রোল করে কিছু মানুষ, তা নিয়ে প্রতিবাদ। দেখা গিয়েছিল, একটি ফোটোশ্যুটের জন্য পোজ দিচ্ছেন। তখনই ক্যামেরাম্যানকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘সব ঠিক আছে তো?’ এতে সেই পুরুষটি ব্রা ঠিক করতে এগিয়ে আসে। তাতে শ্রীলেখা বুঝিয়ে দেন, অন্তর্বাসের ফিতে বের হলেও কোনও সমস্যা নেই।
ꦯএবার এই ভিডিয়ো নিয়েই বিকৃত মিম বানিয়েছে কিছু মানুষ। উপরে লেখা ‘এই হচ্ছে ফেমিনিস্ট’! আর তারপর ব্রা বের হওয়ার অর্থ হিসেবে বলা হচ্ছে, ‘ওয়াড্রোব ম্যালফাংশন।’ সুজিত সুজিত নামে জনৈক তা শেয়ার করেছেন নিজের ওয়ালে। আর ইনি তৃণমূল পন্থী। কভার ফোটোতে বড় করে রয়েছে রাজ্যের মুখ্যন্ত্রীর ছবি।
আরও পড়ুন:🍌 ‘লাঠি আমার গায়ে পড়তে পড়তে…’, যুবভারতীর সামনে পুলিশের কোন রূপ দেখল উষসী-সৌরভরা?
൩আর তাঁকে নিয়ে বানানো এই মিমটি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখলেন, ‘এরা মনে করে মেয়েদের ব্রা-এর স্ট্র্যাপস দেখা গেলে বা শর্টস পরলে, মেয়েরা পুরুষদের ভোগ্যবস্তু। আমিএর প্রতিবাদে যে ভিডিয়োটা করেছিলাম তা বোঝার মতো বুদ্ধি তো এদের নেই। টিএমসি চটিটাচার দল এভাবে ট্রোল করে ভাবছে দারুণ কিছু করল। যেমন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই তো হবে বাকিরা। এরা প্রত্যেকে হল সম্ভাব্য ধর্ষক।’
আরও পড়ুন: ꦏ‘রাজ চক্রবর্তী নিরুদ্দেশ’! আরজি কর নিয়ে শুভশ্রীর বর বলেন, ‘মানুষের সফট টার্গেট…’
꧒প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত জুনিয়র ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রথম থেকে সরব থেকেছেন শ্রীলেখা। আর সেই কারণেই যে এই আক্রমণ তা বুঝতে অসুবিধে নেই কারওরই। এক নেটিজেন শ্রীলেখার পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘এগুলো তৃনুরা ইচ্ছা করে ছড়াচ্ছে। যাতে মেয়েদের পোশাক নিয়ে বিষয়টাকে অন্য দিকে ডাইভার্ট করতে পারে। পাত্তা দিও না। ওরা তো দিদির দালালি করবেই। দিদি যে ভরে ভরে পকেট ভারী করছে ওদের। আমরা যতো এগুলোকে পাত্তা দেবো, ওরা কিন্তু সফল হয়ে যাবে। তাই প্রতিবাদ চলুক। চলতে থাকুক।’
আরও পড়ুন: ♌‘নিশ্চয়ই মেয়েটা ইঙ্গিত দিয়েছিল …’! নির্যাতিতাকে নিয়ে বিটকেল বাঙালি সৈয়দ শামসিল
🤪পরিচালক সৌরভ পালোধি লিখলেন, ‘আগে এই কয়েকটাকে ধরে জেলে ভরা উচিত। যারা এই পোস্টগুলো করেছে।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘চটি চাটাগুলোকে চটি ছুঁড়ে মারা দরকার।’