আরজি করের বিচার চেয়ে দফায় দফায় পথে নামছে সাধারণ মানুষ। যতদিন না নির্যাতিতা বিচার পাচ্ছে,𒊎 সুনিশ্চিত হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা এই প্রতিবাদ যে চলবে সেটা স্পষ্ট। রাত দখলের পর ১ সেপ্টেম্বর আবারও একটা মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার সেটার প্রচারে সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানালেন কেবল মানুষ নয়, বাঙালির অতি দুই কাছের চরিত্র বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসে মিছিলে যোগ দেবে।
কী লিখলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
সৃজিত মুখোপাধ্যায় এদিন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটো ছবি পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফেলুদা ত্রয়ীকে, অর্থাৎ ফেলুদা, লালমোহন বাবু এবং তোপসে। ফেলুদা সেখানে বলছে, 'হিসেবে মিলছে না!' জবাবে তোপসে বলছে, 'মহামিছিলে যাওয়া দরকার।' অন্যদিকে আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে কাকাবাবু আর সন্তুকে। সন্তু কাকাবাবুকে বলছে, 'তুমি পারবে এ🎃তটা পথ হাঁটতে?' জবাবে গোয়েন্দা বলছেন, 'মহামিছিলে আমাদের সবাইকে হাঁটতে হবে রে সন্তু। দোষীগুল𓄧ো এখনও মশা মাছির মতো বাইরে ঘুরছে।'
প্রসঙ্গত ১ সেপ্টেম্বর আমরা তিলোত্তমা নামক একটি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। সেখানে তারকাদের সঙ্গে থাকবেন নাগরিকরাও। এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত চলবে এই মিছিল। এখানে কেবল আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচারের ধ্বনি তোলা হবে না। উঠবে নার💫ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও।
এই বিষয়ে সোহিনী সম্প্রতি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন তাঁদের দাবি কী কী হবে। সেই পোস্ট অনুযায়ী তাঁরা সিবিআইকে আর জি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক-বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করার দাবি তুলবেন। একই সঙ্গে ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোไর ব্যবস্থা নিতে হবে এই দাবি জানাবেন। তাঁদের অন্য দাবিগুলো হল,- ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেটরাজ সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। তৃতীয়ত, দিনে ও রাতে যেকোন সময়ে, গণপরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার চাই। চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণ নয়, নজরদারি নয়, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা চাই। পঞ্চম, স্কুলপাঠ্যে লিঙ্গ-সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিকে আবশ্যক করতে হবে। ষষ্ঠ, প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আই সি সি ও স্থানীয় এলাকায় এল সি সি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে, ইত্যাদি।