২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। এরপর সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, বিচার পাননি প্র🌊য়াত অভিনেতা। ২০২০ সালের জুলাই মাসেই সুশান্তের তৎকালীন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাইয়ের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুশান্তের বাবা।
এরপর রিয়ার নামে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিস। অর্থাৎ, অভিনেত্রীর বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় ছিল বাধানিষেধ। সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রিয়া। সার্কুলারটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আ✨বেদন জানিয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী, কারণ কাজের সূত্রে তাঁকে যেতে হবে দেশের বাইরে।
শুক্রবার, বিচারপতি এ এস গড়কড়ির নেতৃত্বের ডিভিশন বেঞ্♍চে রিয়ার আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়ের জমা দেওয়া আবেদনে দাবি করা হয় যে, সিবিআই দ্বারা এফআইআর দায়ের করা এবং লুকআউট সার্কুলার জারি করার পর প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই মামলায় অন্য কোনও অগ্রগতি হয়নি। সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও সমন জারি করা হয়নি রিয়াকে। এমনকী দাখিল হয়নি কোনও চার্জ♛শিটও।
সিবি𒆙আইয়ের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী শ্রীরাম শিরসাত জানিয়েছে তাঁরা রিয়ার আবেদনের ভিত্তিতে হলফনামা জারি করেছেন।
এদিন আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, সুশান্ত মা🐬মলায় নাম জড়ানোর পর থেকে রিয়া বিদেশে ভ্রমণ করেছেন কি না। জবাবে চন্দ্রচূড় জানান, মাদক মামলায় জামিন পাওয়ার পরে, বিশেষ এনডিপিএস আদালত থেকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু সিবি♎আই-এর লুকআউট সার্কুলারের কারণে তিনি তা করতে পারেননি। এরপর বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ডিসেম্বরের তারিখ দিয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বই পুলিশ এটিতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর রিপোর্ট (ADR) নথিভুক্ত করে এবং তদন্ত শুরু করে। এরপর অভিনেতার বাবা ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিহার পু🐭লিশের কাছ✤ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছিল।
মামলাটি পরে সিবিআই-তে স্থানান্তরিত হয়, যা ২০২০ সালের আগস্টে রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে, হাইকোর্ট শৌভিকের বিরুদ্ধে জারি করাꦯ সার্কুলার সাময়িকভাবে স্থগিত করে তাঁকে বিদেশে যেতে অনুমতি দেয়।
২০২০ সালে রিয়া ও শৌভিককে সুশান্তের সঙ্গে জড়িত মাদক মামলায়⛎ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর দুজনেই জামিনে মুক্তি পান।