দেখতে দেখতে ছয় মাস অতিক্রান্ত। আজ থেকে ঠিক ছয়মাস আগে রবিবারের এক দুপুরে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। তারপর থেকে অনেকটা সময় পার হলেও সুশান্তের মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে অনড় তাঁর লক্ষ অনুরাগী। শুরু থেকেই ‘জাস্টিস অফ সুশান্ত’ আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী হিসাবে উঠে এসেছেন শে༺খর সুমন। সুশান্তের মৃত্যুর ছয় মাস পূর্তির আগের রাতে টুইটারে ফের সুশান্তের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সওয়াল করলেন বিহারꦫের এই ভূমিপুত্র।
‘আগামিকাল সুশান্তের মৃত্যুর অর্ধেক বছর পূর্ণ হবে,আর আজও আমরা চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়। কারা দোষী? কেন আমরা আজও জাস্টিসের জন্য কা𓆏ঁদছি? চলুন আগামিকাল ফের একবার আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রতিবাদের সুর চড়াই’।
শেখর সুমন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনশরদের কাছেও আবেদন জানান এই মামলা নিয়ে সওয়াল করতে, কারণ এই ঘটনার একটা চূড়ান্ত পরিণতি প্রয়োজন- এমনটাই মনে করেন তিনি। শেখর সুমন অপর এক টুইটে লেখেন- ‘প্রত্যেক সংবাদ মাধ্যম, খবরের কাগজ, সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীকে আমার আবেদন দয়া করে আগামিকাল সুশান্তের মামলাটা ফিরে দেখুন, সুবিচারের দাবি অব্যাহত রয়েছে ༺কারণ ‘বিচারে দেরি হওয়া এক কথায় বিচার না পাওয়ার সমান’।
অন্যদিকে সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি, ভাইয়ের মৃত্য💖ুর অর্ধেক বছর পূর্তিতে নতুন ডিজিট্যাল আন্দোলন শুরু করেছেন। #Oath4SSR এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সুশান্ত অনুরাগীদের প্রয়াত অভিনেতার বিচারের জন্য সওয়াল করতে আবেদন জানান শ্বেতা।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাট থেকে মেলে সুশান্তের দেহ। মুম্বই পুলিশের তরফে এই মামলাকে নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে, যদিও পরিবারের তরফে খুনের সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২৫ জুলাই সুশান্তের মৃত্যুর ৪০ দিনের মাথায় অভিনেতার গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর⛎ পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল সুশান্তের পরিবার। আপতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে। পাশাপাশি সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত আরও দুটি মামলা খতিয়ে দেখছে দেশের অপর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা- ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।