আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই মানুষের আরও একটি পাশবিক আচরণের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল এদিন। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতꦬে দেখা যাচ্ছে একটি হাতিকে জ্বলন্ত রড দিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছেꦯ। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন গর্জে উঠলেন টলিউডের একাধিক তারকা। স্বস্তিকা, শ্রীলেখা, মিমিরা কী লিখলেন?
টলিউড তারকারা কী লিখলেন হাতি মৃত্যুতে?
শ্রীলেখা মিত্র বলুন বা তথাগত মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বা মিমি চক্রবর্তী এঁরা সকলেই যে পশুপ্রেমী সেটা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নজর রাখলেই বোঝা যায়। মাঝে মধ্যেই পশুদের উপর কোনও অত্যাচারের কথা প্রকাশ্যে এলে তাঁরা প্রতিবাജদে সরব হন। আর এদিন ঝাড়গ্রামের হাতির মৃত্যুতেও তার অন্যথা হল না।
মিমি চক্রব𓃲র্তী এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদ করে লেখেন, 'লজ্জাজনক। ও মারা গেছে করব একদল হল্লা পার্টি ওর পিঠে বাজি বেঁধে দিয়েছিল। জ্বলন্ত, গরম রড বেঁধে দিয়েছিল। আমরা মানুষ হিসেবে হেরে গেলাম।
শ্রীলেখাও 🙈এদিন ক্ষোভ উগরে লেখেন, 'আমরা বোধহয় সত্যিই ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে। আর এসব দেখতে পারি না। এত হিংসা, এত আক্রমণ এই অবলাদের প্রতি। তারপর আপনারা মানুষকে মনোহর বলবেন?'
তথাগত মুখোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, 'গর্ভবতী হাতির খুন এবার সরকারী হাতে।এবার কেরালা নয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়গ্রাম। বন দফতর আইনত নিষিদ্ধ হূলা পার্টি দিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছিল, এ রাজ্যের বনমন🌳্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নিজেরই এলাকায়।তাদের মধ্যে একজন জ্বলন্ত বর্শা গেঁথে প্রেগনেন্ট হাতিটিকে খুন করে। জ্বলন্ত বর্শা গাঁথার পরেও মা হাতিটি ২৪ ঘন্টা বেঁচে ছিল, হয়তো পেটের ভেতর সন্তানটা তখনও বেঁচে ছিল। একটু একটু করে দগ্ধে দগ্ধে হাতিটি মারা গিয়েছে, মারা গিয়েছে তার সন্তান কারণ প্রেগনেন্ট হাতিটির ভেতরটা জ্বলে গিয়েছিল। ঠিক যেভাবে কেরালাতে বাজি ভর্তি আনারস হাতির পেটের ভেতর একটু একটু করে হাতিটিকে খুন করেছিল। কিন্তু কেরালাতে তো গ্রামবাসীরা হাতিটিকে খুন করেছিল এখানে তো যাদের কাছে আমাদের বিচার চাওয়ার কথা তারাই আদতে খুনি। এখানে তো খুনী বন দফতর, লোকাল ডি এফ ও, বন মন্ত্রী এবং আদতে সরকার। যাদের দায়িত্ব বন্যপ্রানকে সংরক্ষন দেওয়া, তারাই আদতে খুনী, অপরাধী।'
আরও পড়ুন: 'মানুষের প্রতিবাদ কেবল রাম বাম নেক্সাস?' আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে তোপ পরমের, তুলোধোনা করলে🀅ন বিরোধীদেরও
বাদ যাননি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। ꧟তিনি গোটা ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে এই 🐼ঘটনার প্রতিবাদ জানান তীব্র ভাষায়।