🧸 শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানোর সময় একটি আবেদন পত্র পূরণ করতে হয় প্রত্যেক অভিভাবকদের। এই আবেদনপত্রে নাম , ঠিকানা সহ আরও বেশ কিছু তথ্য দিতে হয়। তবে সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি প্রি স্কুলের আবেদন পত্রে দেখা গেল এমন একটি প্রশ্ন, যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে।
📖 স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান শ্রীধর ভি নিজের X হ্যান্ডেলে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি প্রি স্কুল আবেদনপত্রের ছবি তুলে ধরেছেন। আবেদনপত্রের যে অংশটি তিনি হাইলাইট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে আবেদন পত্রে লেখা রয়েছে, Delivery of the child অর্থাৎ সন্তানের ডেলিভারি কীভাবে হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে ফর্মে?
(আরও পড়ুন: 𓆉১৪৩ কিমিতে গাড়ি চালিয়ে বাইকে ধাক্কা, 'কোনও ব্যাপারই নয়', রোয়াব ইনফ্লুয়েন্সারের)
๊ প্রশ্নের তলায় তিনটি অপশনও দেওয়া রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে নরমাল, প্রিম্যাচিওর এবং সার্জারি। যে কোনও একটি অপশনে টিক দিয়ে অভিভাবকদের জানাতে হবে সন্তানের জন্ম ঠিক কীভাবে হয়েছিল। আবেদন পত্রটি শেয়ার করে শ্রীধর লেখেন, ‘আপনি যদি না জানেন মুম্বইয়ের স্কুলের আবেদনপত্র কতটা অস্বস্তিকর হতে পারে, তাহলে একবার এই প্রশ্নটি দেখে নিন। এটি একটি প্রি স্কুলের আবেদনপত্রের ছবি।’
♛ শুধু এই ছবিটি নয়, অন্য একটি পোস্টে আরোও একটি ছবি শেয়ার করেছেন কমেডিয়ান, যেখানে দেখা যাচ্ছে স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে স্কুল থেকে যে আবেদন পত্রটি দেওয়া হয়েছে সেটি ফিল আপ করবেন মায়েরা। শুধু তাই নয়, ইন্টারভিউতে আসার জন্যও শুধুমাত্র মায়েদের আহ্বান জানানো হয়েছে। গোটা চিঠিতে কোথাও বাবার কথা উল্লেখ করা নেই। এই ছবিটি শেয়ার করে শ্রীধর লেখেন, ‘ব্যাপারটা অত্যন্ত মজার। একটি প্রি স্কুল থেকে এমন একটি আবেদন পত্র দেওয়া হয়েছে যেটি শুধুমাত্র মায়েরাই ফিল আপ করতে পারবেন এবং ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আপনি যদি সিঙ্গল বাবা হন, তাহলে এই ফর্ম আপনার জন্য নয়।’
🥀 ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি ইতিমধ্যেই ৩.৮ লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন এবং লাইক করেছেন ৫,৯০০ জনের বেশি মানুষ। মন্তব্যকারীদের বেশিরভাগ মানুষ স্কুলের আবেদনপত্রে এমন প্রশ্নের নিন্দা জানিয়েছেন এবং ধিক্কার জানিয়েছেন স্কুলের কর্মকর্তাদের। এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘এটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি প্রশ্ন। কখনওই বাবা-মাকে এই প্রশ্ন করা যায় না।’
(আরও পড়ুন: ജকান্নাকাটির কারণে শান্তিভঙ্গ! বিমানের টয়লেটে আটকে রাখা হল এক বছরের বাচ্চাকে, মর্মান্তিক কাণ্ড যাত্রীদের)
𒐪 ডক্টর নীলিমা শ্রীবাস্তব লিখেছেন, ‘আমি এমন স্কুলে আমার সন্তানকে পাঠাতে চাই না কখনও, যেখানে সন্তানের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এটি জরুরী নয়।’ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই আবেদন পত্র কোনও দিক থেকেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।’