প্রবল গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে জল ঢালা পান্তা ভাতের জুড়ি মেলা ভার, তার সঙ্গে যদি মেলে কিছু ভাজা আর মাখা তাহলে তো কথ꧑াই নেই। কিন্তু, জানেন কি, পান্তা ভাত নিয়ে রাজ্যে উদযাপিত হয় একটি আস্ত উ🧸ৎসব। ভাবছেন কী সেই উৎসব? 'পান্তা উৎসব'। মূলত বর্ষার আহ্বানে হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় পালিত হল এই 'পান্তা উৎসব'।
জৈষ্ঠ্য প্রায় শেষের পথে, হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, তা꧑রপরই শুরু হবে আষাঢ়, কিন্তু আ🦹কাশে বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টে ভ্যাপসা গরম আর তাপপ্রবাহে নাজেহাল সকলেই। তাই এই প্রবল দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে গরম সবাই এখন চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে বর্ষার আগমনের অপেক্ষায়। বর্ষার আহ্বানে মন ঠাণ্ডা করা বৃষ্টির প্রার্থনায় 'পান্তা উৎসব' হয় চুঁচুড়াতে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রায় তেরো বছর ধরে এই 'পান্তা উৎসব' পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ক🐼েন ✃পালন করা হয় জামাইষষ্ঠী? জানেন কি সেই মজার গল্পটি
৮ জুন শনিবার হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় এই সেই উৎসব পালন করা হয়েছে। এলাকার সকলে এই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। তবে কেবল স্থানীয়রা নন, তাঁরা ছাড়াও রাজ্যের নানা জেলা যেমন- কলকাতা, নদিয়া, আসানসোল থেকে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংগঠনের ভবনে প্রায় ৬০০ লোকের খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, গন্ধরাজ লেবু, আলুসেদ্ধ, কাঁচা লঙ্কা, ভাজা শুকনো লঙ্কা, কাঁচা পিঁয়াজ, ডালের বড়া, পিঁয়াজি, মাছের ডিমের বড়া, পাঁচমিশালী সবজি, মৌরলা মাছের চচ্চড়ি, মাছের মাথা দিয়ে ছ্যাঁ🍨চড়া, কাতলা কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। তাছাড়াও ☂গরমের মরশুম বলে শেষ পাতে রাখা হয়েছিল হিমসাগর আম ও সঙ্গে পাকা কাঁঠাল।
১৬ পদের খাবার-সহ পান্তা সকলে জমিয়ে চেটেপুটে খান, সবাই মিলে🎃 মেতে ওঠেন এই 'পান্তা উৎসব'-এ। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত জানান, 'গরমে বর্ষার প্রার্থনায় বারো বছর আগে এই পান্তা উৎসব শুরু হয়েছিল। আর তারপর থেকে প্রতিবছর এই 🌟ভাবে 'পান্তা উৎসব' অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়, জাঁকজমক করে অনুষ্ঠিত হল এই উৎসব। সমাজ মাধ্যমের পাতায় সংস্থা ফেসবুক পেজ দেখে দমদম, বেহালা থেকেও অনেকে এই উৎসবে যোগ দেন। গরমের দুপুরে পান্তা ভাত খেয়ে তৃপ্ত সকলেই।'
আরও পড়ুন: ভুলেও গার্লফ্রেন্ডকে বলবেন না এই ৫ কথা, ব্রেক আপ হয়ে✃ যা♍বে হয়তো
'পান্তা উꦅৎসব'-এর কতদিন পর বর্ষার আগমন ঘটবে তা জানতে হলে হাওয়া অফিসই ভরসা। তবে সংস্থার সদস্যদের কাছে এই দিনটা খুব আনন্দের। তাঁদের মতে, প্রচণ্ড গরমে পান্তা পেট ঠান্ডা রাখে। আর প্রবল দাবদাহ থেকে প্রকৃতিকে ঠান্ডা করতে বৃষ্টিই একমাত্র ভরসা। তাই বৃষ্টি নামানোর জন্য 'পান্তা উৎসব'-এর আয়োজন করা হয় প্রতি বছর।