সিটের নীচে কার প্রস্রাব! ভিজে গিয়েছে জিনিষপত্র। কানতাস এয়ারওয়েজ𒁏ের মতো আন্তর্জাতিক এয়ালাইনসের থেকে এটা তো কাম্য ছিল না। ফ্লাইটে বসে টানা ১০ ঘন্টা কাটানোর পর রীতিমত বিস্ফোরক দাবি নিউজিল্যান্ডের এক দম্পতির। তাঁদের কথায়, ‘ব্যাংকক থেকে সিডনি ভ্রমণের সময় তাদের অন্য কারও প্রস্রাবে বসতে হয়েছিল। তাও টানা ১০ ঘন্টা।’ এয়ালাইনসের ওই কোম্পানির সঙ্গে রীতিমত দক্ষযোগ্য বেঁধে গিয়েছিল তাঁদের।
রেগে গিয়ে দম্পতির দাবি, পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু এয়ারলাইনস প্রথমে মানতে চায়নি। অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছিল। তারপর! একটিও টাকা কি ফেরত পেলেন ওই দম্পতি! চলুন জেনে নেꦛওয়া যাক।
জানা গিয়েছে, ফ্লাইটে উঠে সিটে বসার পর, ওই দম্পতি তাঁদের কিছু জিনিসপত্র আসনের সামনে মেঝেতে রেখেছিলেন। আর অন্যান্য জিনিসপত্র ওভারহেড বিনে রেখেছিলেন। পরে যখন তাঁরা একটি ক🎉োয়ান্টাস বালিশ সহ অন্যান্য জিনিসে হাত দেন, বুঝতে পারেন যে সেগুলি রীতিমত ভিজে গিয়েছে। শুধু তাই নয় ওই বালিশে কিছু একটার দাগও লেগে রয়েছে। আউটলেট অনুসারে, মূলত এর পর সিটের নীচে তাঁরা কোনো বাচ্চার অন্তর্বাস দেখতে পান। এরপর স্বাভাবিকভাবেই দম্পতি ভেবে নি♋য়েছিলেন যে তাঁদের জিনিসপত্রে যে তরলের দাগ লেগে রয়েছে। তা জল নয় বরং কোনো বাচ্চার প্রস্রাব ছিল।
এমন ঘটনার পরে এনজেড হেরাল্ড সূত্রে খবর, ওই এয়ারলাইন্সের সুপারভাইজার প্রাথমিকভা𓆉বে দম্পতিকে ১০,০০০ কোয়ান্টাস পয়েন্ট অফার করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা পুরো অর্থ ফেরতের দাবি জানান। কারণ ওই পয়েন্ট নিয়ে কোনো কাজ হবে না। কারণ এর পরবর্তী কালে তাঁরা আবার কান্টাস এয়ারলাইন্সে উঠবেন না বলেই পরিকল্পনা করেছেন।
যদিও, পরে জানা গিয়েছে যে ইমেলের মাধ্যমে দম্পতি এ🅺বং বিমান সংস্থার মধ্যে কথা কাটাকাটির পরে, কোম্পানি তাঁদের টিকিটের ভাড়া ফেরত দিতে রাজি হয়েছিল। ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে। তবে, এয়ারলাইন🎃সের মেঝেতে পরে থাকা ওই জল আদতে প্রস্বাব ছিল কিনা। সে বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। এদিন কোম্পানি জানিয়েছে, ‘আমরা গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং তাঁদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে,’। এর পরেও ওই দম্পতির দাবি, এতটা বড় সমস্যার সমাধান করতে এত সময় লেগেছে দেখে তাঁরা কিছুটা হতাশই হয়েছেন। তবে, সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পেয়ে তাঁরা 'সত্যিই খুশি' বলেও জানিয়েছেন।