মা হওয়ার পর অনেক মহিলাই নিজের ফিগার নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। অতিরিক্ত ওজন বা পেটের কাছে জমে থাকা মেদের জন্য গায়ে ফিট করে না পছন্দের পোশাক। আর তারপরই একরাশ হতাশা এসে বাসা বাঁধে মনের ভিতরে। সি-সেকশন হওয়ার পর সেলাইয়ের জায়গা শুকিয়ে আসতে সাধারণত ৩-৪ মাস সময় লাগে। তাছাড়া বাচ্চা জন্মানোর প্রথম তিন মাস সাধারণত শিশুরা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিড করে। তাই এই সময়টা চিকিৎসকেরা ডায়েট না করার পরামর্শই দিয়ে থাকেন। দেখুন কী করবেন। মনে রাখবেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের ওজন সবথেকে বেশি কমে। এনেকেই এই সময়তেই পুরোপুরি রোগা হয়ে যান। ঝরিয়ে ফেলেন প্রেগন্যান্সির সময়ের ওজন। শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে। চিকিৎসকের কাছ থেকে আগে জেনে আসতে হবে শরীরচর্চা করার জন্য আপনার শরীর তৈরি কি না! তারপর যোগা দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইড, ব্রিস্ক ওয়াকিং, স্কিপিং করুন। সিজারের পর পেট অনেকটাই বেড়ে গেলে বেল্ট পরুন। বেল্ট পরে থাকতে যতই বিরক্ত লাগুক তা খাওয়া আর ঘুমনোর সময় ছাড়া খুলবেন না। এতে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমবে। পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান। দিনে ৭-৮ গ্লাস অন্তত। শুনতে অবাক লাগলেও, জল দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে।মিষ্টি জাতীয় খাবার ডায়েট থেকে ছেঁটে ফেলুন। সন্তানের বয়স ৭-৮ মাস হলে যখন সে সলিড খাবার খাওয়া শুরু করবে, তখন ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ১ কাপ করে দিন। তার জায়গায় প্রোটিন জাতীয় খাবার, ফাইবার আছে এমন খাবার অর্থাৎ শাক-সবজি রাখুন ডায়েটে। এই সময় ভুল করেও না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার ও আপনার শিশুর ক্ষতি হতে পারে।