৪০ ডিগ্রী না হলꦿেও এখন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্র🍸ির কাছাকাছি। এত অসহ্য গরমে সারাদিন খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু পেট তো কথা শুনবে না। তাই অগত্যা ইচ্ছে না হলেও খেতে হয়। কিন্তু এই গরমে মাছ মাংস তো দূরের কথা, ভাত রুটিও খেতে ইচ্ছে করে না।
ভাত না রুটি, কোনটি গরমে খাওয়া ভালো, এই নিয়ে একটা তর্ক বিতর্ক থেকেই যায়। অনেকে ভাবে গরমে ভাত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। অনেকে আবার ভাবে বারবার ভাত খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। তাহলে কোনটি খাඣবেন আপনি? ভাত না রুটি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
(আরও পড়ুন: টুনা মাছে ভরা কালো ফুচকা𝐆! এ কেমন স্বাদের খাবার খাচ্ছে মানুষ? ভিডিয়ো দেখে অবাক নেটিজেন)
স্বাস্থ্য গু🐠ণের দিক থেকে ভাত এবং রুটি দুটোই একে অপরের পরিপূরক। আপনি যেমন শুধু ভাত খেয়ে থাকতে পারবেন না তেমন শুধুই রুটি খেয়ে দিন কাটানো অসম্ভব। পুষ্টিগত দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাবে, ভাতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাঙ্⭕গানিজ এবং আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মত উপাদান। কিন্তু ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে রুটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আপনার ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।𒆙 কিন্তু আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে আবার রুটি আপনার জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাহলে বিতর্কে জিতল কে? ভাত না রুটি? এই গরমে আপনার শরীরের পক্ষে কোনটি ভালো?
পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক এই প্রসঙ্গে বলেন, এই বিতর্ক একেবারে অপ্রাসঙ্গিক। ভাত আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখবে, রুটি আপনার শরীরকে গরম করে দেবে এই 𒅌ধারণা একেবারে ভ্রান্ত। ভাতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে মানুষের মনে হয় ভাত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। কিন্তু তার মানে এই নয় রুটি খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। হজমের যদি কোনও সমস্যা না হয় তাহলে রুটি খাওয়াই যায়।
(আরও পড়ুন:কনের লেহেঙ্গার সঙ্গে ম্যাচিংয়ের প্রয়োজন নেই! গরমে বিয়ে করলে বরেদের এই পরামর্শ মানা উ﷽চিত)
অনন্যার মতে, ভাতের মধ্যে যে একটি শীতল ভাব রয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। তাই আপনার যদি মনে হয় আপনি গরমে ভাত খাবেন, সেটা খেতেই পারেন, যদি আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে। আবার ওজনের সমস্যা থাকলে আপনার রুটি খাওয়াই ভালো। তবে ভাত বা রুটি, যেটাই খান না কেন গরমে পরিমাণটা কমিয়ে দেওয়াই ভালো। শুধু তাই নয়, ভাত বা রুটির সঙ্গে সঙ্গে মা🐎ছ মাংসের পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে।