বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন, বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ, ইত্যাদির কারণেই প্রায় শতাধিক ছোঁয়াচে রোগ মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়া, হান্টাভাইরাস, কলেরা, অ্যানথ্রাক্স, ইত্যাদি। গবেষণায় এমনটাই দাবি করছে। গবেষকদ🌊ের মতে ৩৭৫টি পরিচিত ছোঁয়াচে রোগের মধ্যে ২১৮টি রোগই ছড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। অর্থাৎ মোট কেসের ৫৮ শতাংশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে কেবল ১০ ধরনের চরম আবহাওয়ার কারণে যা ঘটেছে জলবায়ু পরিবর্♓তনের জন্যই।
নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১০০৬ রোগ ছড়িয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেই। ভারী বর্ষণ, বন্যার কারণে একাধিক রোগ ছড়ায় যা মূলত ইঁদুর, মশার কারণে হয়। অন্যদিকে সমুদ্রের বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কারণে আমরা সমুদ্রের যে জিনিসগুলোকে খাবার হিসেবে খাই সেগুলোকে খারাপ করে তুলছে, একই সঙ্গে বাদুড় দিয়ে ছড়ায় এমন সংক্রামক রোগের প্রাদূর্ভাব ঘটাচ্ছে। (আরও পড়ুন: অ্যালজাইমার হয়েছে কি না বুঝতে পারছেন না? দেখে নিন এই সহজ উপায়ে)
জোনাথন প্যাটজ, এই গবেষণাপত্রের সহ লেখক জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন হলে রোগ ছড়ানোর মাত্রা এবং ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। এই গবেষণায় যা ধরা পড়েছে তা ভয়াবহ। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে হিউম্যান প্যাথোজেনের উপর। এমনটাই জানিয়েছেন ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ কার্লোস ডেল রিও। (আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস নিয়ে নতুন তথ্য! রক্তের এক বিশেষ উপাদান নাকি বাড়িয়ে দিচ্ছে ঝুঁকি)
তবে এই গবেষণাপত্রে ভবিষৎ নিয়ে কোনও আগাম বার্তা দেওয়া হয়নি, এতদিন যা ঘটেছে তা🌃র ভিত্তিতেই এই গবেষণা প⭕ত্র তৈরি করা হয়েছে। এবং সেখানেই দেখা গিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা ছোঁয়াচে রোগের উপর রয়েছে।