ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। ভারতীয় ন্যায় ( দ্বিতীয়) সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা( দ্বিতীয়) সংহিতা, ও ভারতীয় সাক্ষ্য(দ্বিতীয়) বিল পাশ করা হল সংসদে। আর এই তিন বিল পাশ হওয়ার জেরে কার্যত উচ্ছসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এক্স হ্যান্ডেলে এই ফৌজদারি আইন পাশ নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ আমাদের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়েছে। এই বিল ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস্থার অবসান ঘটাচ্ছে। একটা নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। অন্তত ৪৬জন বিরোধী এমপিদের অনুপস্থিতিতে পাশ করা হল এই বিল। তাঁরা নানা কারণে সংসদ থেকে বরখাস্ত হয়ে রয়েছেন। ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা মূলত ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের বদলে প্রয়োগ করা যাবে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের জায়গায় থাকবে। আবার ভারতীয় সাক্ষ্য বিল এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২ এর বদলে হবে।মোদী জানিয়েছেন, এই বিল গরিব, প্রান্তিক মানুষদের সুরক্ষায় সহায়তা করবে। সেই সঙ্গেই মোদী জানিয়েছেন, এই বিল সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে এই বিল। সেই সঙ্গেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা রোধে যে মান্ধাতার আমলের ব্যবস্থা ছিল তাকেও বিদায় জানাবে এই ব্যবস্থা। এই বিল নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লিখেছেন, সমস্ত ভারতবাসীকে অভিনন্দন। এটা দেশের কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। এটা একটা গর্বের ব্যাপার যে এই তিনটা বিল পার্লামেন্ট পাশ হয়েছে আজ। ব্রিটিশরা যে আইন তৈরি করেছিল তার জায়গায় এবার দেশের জন্য নতুন আইন তৈরি হল। ভারতের জন্য দেশীয় ফৌজদারি ন্যায় ব্যবস্থা তৈরি হবে।কেউ যাতে পেছনে না পড়ে থাকে, এটাই মোদীজির নীতি। মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।