বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও জঙ্গি হামলা। এই ঘটনায় তিন জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। জানা যাচ্ছে, সোমবার আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির প্রায় ১০০ জন সদস্য কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শ💛রণার্থী শিবিরে ঢুকে হামলা চালায়। যাদের উপরে হামলা🍌 চালানো হয় তারা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এভাবে বারবার জঙ্গি হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন: ভারতে র🍷োহিঙ্গা ও বাংলাদ💛েশিদের ঢোকাত, ত্রিপুরা থেকে মূল চক্রীকে ধরল NIA
২০১৭ সালের রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করেছিল মায়ানমার। সেই সময় প্রায় ১০ লক্ষ রাষ্ট্রহীন এবং নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। যারা এখন আছেন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির✃ে। তারপর থেকেই সেখানে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি। তারা রোহিঙ্গাদের শিবিরে ঢুকে জোর করে যুবক ও কিশোরদের তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীতে ভর্তি করছে।
জানা যাচ্ছে, সোমবার শিবি📖রের চারপাশে থাকা কাঁটা তারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে জঙ্গিরা। এরপর হামলা চালায় শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সদস্যদের ওপর। সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটেলিয়নের আধিকারিক মহম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর পাশাপাশি ছুরি দিয়েও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
নাম প𓂃্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক নেতা জানান, যে তিন জন মারা গিয়েছে তারা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সদস্য। প্র🍬তিনিয়ত ক্যাম্পে খুন, বন্দুকের লড়াই লেগেই রয়েছে। তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন রোহিঙ্গারা। অভিযোগ উঠেছে, এপ্রিলের পর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা কমেছে।প্রতিদ্বন্দ্বী রোহিঙ্গা গোষ্ঠী জোর পূর্বক যুবক এবং কিশোরদের তুলে নিয়ে গিয়ে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে জোর করে ক্যাম্প থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং রোহিঙ্গা সম্♔প্রদায়ের নেতারা। বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে🦩 ২০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরাকান আর্মির সদস্যরা চাইছে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে। তাই তারা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সেখানে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছে।