🐠 ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল চারজনের। গুরুতর জখম হলেন আরও একজন। তাঁরও অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে দাবি সূত্রের। সবথেকে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই বিস্ফোরণের ধরন দেখে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিয়ানার বাহাদুরগড় এলাকায়।
❀বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে সর্বশেষ যে খবর সামনে এসেছে, সেই অনুসারে, বাহাদুরগড় এলাকার ৯ নম্বর সেক্টরে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, হয়তো বা রান্না ঘরে বা বাড়ির অন্য কোথাও রাখা রান্নার গ্য়াসের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু, তেমনটা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাহলে কি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে? সেই বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
🅠কারণ, পুলিশ জানিয়েছে - বিস্ফোরণটি ঘটেছে এলাকারই একটি বাড়ির শোওয়ার ঘরে। এবং সেটির অভিঘাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুরো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল বলেই চারজনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। অথচ, বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি হয়নি।
🦩ঘরে লাগানো এয়ার কন্ডিশন ইউনিটটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিস্ফোরণের ভয়াবহতার তুলনায় সেই ক্ষতি কম বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে রাজি হয়নি পুলিশ। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ ও দমকল কর্তৃপক্ষ পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে।
✅সংবাদ সংস্থা এএনআই -এর প্রতিনিধিকে বাহাগদুরগড়ের ডিসিপি মায়াঙ্ক মিশ্রা জানিয়েছেন, 'এটা আর যাই হোক কেন, সিলিন্ডার ফেটে হওয়া বিস্ফোরণের কোনও ঘটনা নয়। এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বাড়ির শোওয়ার ঘরে। বিস্ফোরণের প্রভাব সারা বাড়িতে পড়েছে। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন আহত হয়েছেন এবং তাঁর অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় মৃতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। ফরেন্সিক টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা বাড়ির ভিতর ঢুকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
💮ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, 'বাড়ির রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেটি একেবারে অক্ষত রয়েছে। এসি ইউনিটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, এসি মেশিনেই বিস্ফোরণ ঘটেছে কিনা, সেটা এখনই আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আমার বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ বিভাগের সদস্যদের ডেকে পাঠাব। তাঁরা কী বলেন দেখি, এফএসএল টিম কী তথ্য দেয় দেখা যাক, কীভাবে এই পরিস্থিতি হল, আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা করব।'