বুধবার এডেন উপসাগরে বারবাডোসের পতাকাধারী লাইবেরিয়ার মালিকানাধীন জাহাজ 'এমভি ট্রু কনফিডেন্স' পড়েছিল হুথি জঙ্গিদের হামলার মুখে। পণ্য নিয়ে ইয়েমেনের বন্দর থেকে খানিক প্রায় ১০১ কিলোমিটার দূরে জলপথে যাচ্ছিল জাহাজটি🏅। তখনই তাকে টার্গেট করে মিসাইল হামলা করে হুথি জঙ্গিরা। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী জঙ্গ♛ি গোষ্ঠীর মিসাইলে জাহাজে আগুন ধরে। ৩ জন মারা যান। অনেকে প্রাণভয়ে জাহাজ থেকে ছোট বোটে করে জলপথে সওয়ার হন। আহত হন অনেকে। ভারতীয় নৌসেনা সেই হামলায় বিধ্বস্ত জাহাজ থেকে ২১ জনকে উদ্ধার করল।
বৃহস্পতিবার, ভারতীয় নৌসেনার তরফে ১ ভারতীয় সহ ২১ জনকে হুথি হামলার বিধ্বস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধারের ঘটনা জানানো হয়। উল্লেখ্য, বুধবার এডেন উপসাগরে হুথিদের মিসাইলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বাল্ক কেরিয়ার জাহাজটি। যে হামলায় ৩ জনের মৃജত্যু হয়েছে। অনেকেইপ্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে যান জাহাজ ছেড়ে। এই ♏তথ্য মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে। আর সেই জাহাজ থেকে আহতদের উদ্ধার করে তাঁদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে এগিয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। জলপথের নিরাপত্তায় মোতায়েন ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতা, এই অপারেশনের অন্যতম বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।
এই গোটা অপারেশনে আলাদা করে নজর কেড়েছে আইএনএস কলকাতার তৎপরতা। উল্লেখ্য, আইএনএস কলকাতা, জলপথে নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন। নৌসেনা বলছে, ‘ সামুদ্রিক নিরাপত্তা অপারেশনের জন্য নিয়োজিত আইএনএস কলকাতা ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ২১ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ক্রিউদের মধ্যে রয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁদের লাইღ ব়্যাফ্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। বহু নৌকা, হেলিকপ্টার নিয়ে এই উদ্ধার কাজ চালানো হয়। জাহাজের মেডিকেল টিম দ্বারা গুরুতর আহত ক্রুদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।’
জানা গিয়েছে, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে মিসাইল এসে পড়তেই, প্রাণে বাঁচতে জাহাজ ছেড়ে মাঝ সমুদ্রে নেমে পড়েন অনেকে। একটি মার্কিনি যুদ্ধ জাহাজ ও ভারতীয় রণতরী সেখানে উপস্থিত হয়। এরাই উদ্ধারে সহায়তা করে। উলেলেখ্য, ইরান সমর্থিত হুথি জঙ্গিদের এই হানায় প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধের মধ্যে এই🐭 প্রথম প্রাণঘাতী হামলা জলের সীমায় চালাল হুথিরা। জানা গিয়েছে, জাহাজটি চিন থেকে স্টিল নিয়ে যাচ্ছিল জেদ্দাহর দিকে। জাহাজের ম্যানেজার ও মালিকরা জানিয়েছেন, জাহাজের ২০ জন ক্রুতে একজন ভারতীয়, ১৫ জন ফিলিপিনো এবং চারজন ভিয়েতনামি ছিলেন।