বুধবার রাতে দিল্লির একাধিক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। কেরজির মন্ত্রিসভার সদস্য অতিশি থেকে সৌরভ ভরদ্বাজ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে অরবিন্দ কেজরিয়াওলকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। প্রসঙ্গত, দিল্লি আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় বুধবার তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। তবে মুখ্যমন্ত্রী তাতে হাজিরা দেননি। এই আবহে অতিশি ও সৌরভরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেন, তাঁরা নাকি খবর পেয়েছেন যে বৃহস্পতিবার সকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাবে। আর এরপরই হয়ত তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এদিকে এই জল্পনার মাঝেই আজ সকাল থেকেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: নির্বা🍌চনী ট্রাস্টগুলির অনুদানের ৭০% গিয়েছেಌ BJP-র ঝুলিতে, টাকার অঙ্কে ঘুরবে মাথা!)
আরও পড়ুন: 'রাশিয়া যদিꦚ বেশি...', অশোধিত তেল আমদানি নিয়ে জল্পনার মাঝে কোন ইঙ্গিত কেন্দ্রের?
উল্লেখ্য, বুধবার বুধবার তৃতীয় বারের জন্য ইডির সমন এড়িয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে ইডিকে চিঠি লেখেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি তদন্তকারী সংস্থাকে জানান, রাজ্🥃যসভা নির্বাচন এবং সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি ব্যস্ত। উল্লেখ্য, এবছরের ২৭ জানুয়ারি রাজ্যসভায় বেশ কিছু সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দিল্লি থেকে রাজ্যসভার ৩টি আসন ফাঁকা হবে এর জেরে। এই আবহে ইডিকে লেখা চিঠি কেজরিওয়ালের বক্তব্য, 'আমি আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক। তাই এই প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এছাড়া আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাই ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দি🔯বসের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান নিয়েও ব্যস্ত রয়েছি আমি।'
এর আগে গত ২ নভেম্বর কেজরিওয়ালকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে��ছিল ইডি। তবে সেই সমনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে হাজিরা এড়িয়েছিলেন আপ নেতা। আর তারপর গত বছরের ২২ ডিসেম্বর তাঁকে সমনের চিঠি পাঠিয়ে ৩ জানুয়ারি হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। এই আবহে কেজরিওয়ালের অভিযোগ, এই সমনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ💞 রয়েছে।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় ইডিকে সব দিক দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এই গোটা আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ, আম আদমি পার্টির সময়কালে দি🀅ল্লি সরকারের তরফে আবগারি নীতি বদলে ফেলা হয়েছিল। এর ফলে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে নাকি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছিলে🀅ন দিল্লির হেভিওয়েট নেতারা।