প্রায়ই রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন নামি কোম্পানির নামে জাল প্রেস রিলিজ ভাইরাল হয়ই। এবার একই ফাঁদে পড়েছিল আদানি গ্রুপ। এই কোম্পানির নামে একটি বিতর্কিত প্রেস রিলিজ ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা যায় যে কেনিয়ার প্রজেক্ট নেওয়ার জন্য আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের রীতিমত হুমকি দিয়েছে আদানি গ্রূপ। সতর্ক করে নাকি বলেছে যে কেনিয়াতে প্রজেক্টের জন্য কোম্পানির কাছ থেকে যাঁরা ঘুষ নিয়েছি♒লেন, সেই সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম ফাঁস করে দেওয়া হবে। কিন্তু আদতে এই প্রেস রিলিজ সম্পূর্ণ ভুয়ো বলেই দাবি করছে আদানি গ্রূপ।
কেনিয়ার প্রজেক্ট নিয়ে𒆙 এদিন বড় তথ্য দিল আদানি গ্রুপ। স🌳োমবার, আদানি গ্রুপ স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা বা তাদের কোনও সংস্থা কেনিয়াতে চলমান কোনও প্রজেক্ট বা কার্যকলাপ সম্পর্কে, এখনও কোনও প্রেস রিলিজ জারি করেনি। এর আগে যা যা জারি করা হয়েছে, প্রত্যেকটিই ভুয়ো বলে জানিয়েছে আদানি গ্রূপ। আদানি গ্রুপেরই একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে ক্ষতিকারক উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু মানুষ জাল প্রেস রিলিজ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আদানির মুখপাত্র বিবৃতিতে আরও বলে♔ছেন, 'আমরা এই প্রতারণামূলক কাজের তীব্র নিন্দা করি। সবাইকে এই জাল বিজ্ঞপ্তিতগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।' মিথ্যা প্রচার যাঁরা করেছেন, তাঁদ🌠ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি আরও জানিয়েছে যে আদানিদের সমস্ত অফিসিয়াল প্রেস রিলিজ, তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মিডিয়া এবং প্রভাবশালীদের উদ্দেশ্যে আদানিরা আরও বলেছে, কোম্পানির কোনও তথ্য বা খবর প্রকাশ বা সম্প্রচার করার আগে, তথ্য ও সূত্র যাচাই করে নেওয়া ভালো।
আসল ব্যাপারটা কী
আদা📖নিদের হাতে কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দরের কাজ তুলে দেওয়ার পর বিক্ষোভের চাপে সত্যিই পড়েছিল কেনিয়া সরকার। যদিও ইউনিয়নগুলির বিরোধিতা সত্ত্বেও, কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ আদানি গ্রুপকেই দিয়েছে কেনিয়ার সরকার। সরকার নিশ্চিত করেছে যে এই কোম্পানিটিই সে দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে। আসলে, সে দেশের শ্রমিকরা আদানির কারণে, চাকরির নিরাপত্তা এবং কাজের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। সরকার এবং আদানি গ্রুপের আশ্বাসে সেই বিরোধের সমাধান হয়েছে ইতিমধ্যেই।