কন্নড় নাটক ‘টিপু নিজা কানাসুগালু’ (টিপুর আসল স্বপ্ন) এর লেখক অদ্যন্দ সি কারিয়াপ্পা ইস্তফা দিলেন তথা কর্ণাটকের মাইসুরুর রঙ্গযানা থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পদ থেকে। কর্ণাটকে কংগ্রেসের কাছে ভোটে বিজেপি পর্যপদস্ত হতেই তাঁর ইস্তফা পত্র আসে। তিনি যে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন, ত♛াতে লিখেছেন ‘নৈতিক দায়িত্ব’ নিয়ে তিনি পদ ছাড়ছেন।
সদ্য কর্ণাটকে শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে কংগ্রেসের কাছে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। এদিকে, বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে রঙ্গযানা থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ছিলেন অদ্যন্দ কারিয়াপ্পা। যাঁর লেখা ও পরিচালনায় ‘টিপু নিজা কানাসুগালু’ নাটকটি ঘিরে ব্যাপক চর্চা তৈরি হয়। সেই নাটকের বিষয়বস্তুই লেখা ছিল তাঁর বইতে। যে বই ছিল বিতর্কের কেন্দ্রে। তগত ১৩ মে কর্ণাটকে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। আর ১৪ মে পদ থেকে ইস্তফা দেন কারিয়াপ্পা। এরপর রাজ্যের কান্নাড়া ও সাংস্কৃতিক বিভাগের কাছে রঙ্গযানা থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তৎফার পত্র পাঠিয়ে দেন অদ্যন্দ কারিয়াপ্পা। তিনি তাঁর ইস্তফাপত্রে লেখেন, ‘যে সরকার আমাকে রঙ্গযানের ডিরেক্টর পদে আসীন করেছিল, তারা হেরেছে নির্বাচন। আমি মানুষের জনমতকে শিরোধার্য করছি। এর নৈতিক দায়িত্ব নিচ্ছি। আর ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ ওই ইনস্টিটিউশনের ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল কারিয়াপ্পার। যে নাটক নিয়ে ব♒িতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই নাটক মাইসুরুর ভূমিগীতা থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই বছরের নভেম্বরে সেই নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকে দাবি করা হয়, ব꧙্রিটিশদের হাতে টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়নি। মৃত্যু হয়েছিল ভোক্কালিগা নেতা উরি গৌড়া ও নঞ্জে গৌড়ার হাতে।
(হয় ৩ ✤মাসে 'ফিট' হতে হবে, নয় যেতে পারে চাকরি! অসমে পুলিশ কর্মীদের সতর্ক করলেন DGP)
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে ভোক্কালিগা জাতি গোষ্ঠীর প্রভাব একটা বড় এলাকা জুড়ে রয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্ক বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দিকের জন্যই এই ভোটব্যাঙ্ক নির্বাচনী লড়াইতে ছিল জরুরি। এদিকে, অষ্টদশ শতাব্দ🐬ীতে কর্ণাটকের মাইসুরুতে রাজত্বকারী চিপু সুলতানকেও দেখানো হয়েছিল একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এছাড়াও নাটকে দাবি করা হয়, ৮০ হাজার কোদাগুড়ুর যোদ্ধা 'কোড়াভা'কে গণহত্যা করেছিলেন টিপু সুলতান। বহু ইতিহাসবিদ এই ইস্যুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অনেকেই অভিযোগ তোলেন যে, এই সমস্ত তথ্যে জাতিগত বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। সেই বিতর্ক ঘিরে ব্যাপক আলোচিত হন কারিয়াপ্পা।