পাহাড়ের গর্তে আটকে পড়েছিলেন এক পর্বতারোহী। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর তাঁকে উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা, ভ🌳ারতীয় নৌবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকলেও বড় কোনও চোট-আঘাত লাগেনি ওই পর্বতারোহীর। ঘটনাটি কেরালার পালাক্কড় জেলার কুরুমবাচি পাহাড়✱ের।
গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে কুরুমবাচি পাহাড়ের একটি গর্তে আটকে পড়েছিলেন ২৩꧙ বছরেরꦑ আর বাবু। যিনি মালামপুঝার চেরাডের বাসিন্দা। গর্ত এতটাই ছোটো ছিল যে তিনি ঠিকভাবে বসতেও পারেননি। দড়ি, লাঠি এবং অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করে তাঁর বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দা এবং মালামপুঝা পুলিশকে। রাত ১২ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকল। কিন্তু আলোর অভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়নি। মঙ্গলবার সকালেও বাবুর কাছে পৌঁছানো যায়নি। সেই পরিস্থিতিতে বাবু কোথায় আছেন, তা চিহ্নিত করতে ড্রোন ওড়ানো হয়। কোচি থেকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার আসে। কিন্তু বাবুর কাছে যেতে পারেননি।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সেনার দুটি দল পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ (ইংরেজি মতে বুধবার) একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেই দলে ওয়েলিংটনের মাদ্রাস রেজিমেন্ট সেন্টারের ১২ জন আধিকারিক ছিলেন। তাতে পর্বত বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। সঙ্গে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ছিল। সুলুর থেকে বিমান করে অপর একটি দল ভোর চারটে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাতে বেঙ্গালুরুর প্যারাশুট রেজিমেন্ট সেন্টারের ২২ জন আধিকারিক ছিলেন। ভোর ৫ টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজের সময় ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছিল। তাঁকে খাবার এবং জল দেওয়া হয়েছিল। জরুরি পরিস্ౠথিতির বিষয়টি বিবেচনা করে সুলুর বায়ুঘাঁটিতে একাধিক হেলিকপ্টারকে তৈরি রাখা হয়েছিল। পরে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। তাঁর হাঁটুতে সামান্য চোট লেগেছে।