বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট মথুরার একটি নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয় যাতে কৃষ্ণ জন্মভূমি ইস্যুতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমানের পক্ষে দায়ের করা দুটি আবেদনের বিষয়ে চার মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দায়ের হওয়া দুটি আবেদনের মধ্যে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির (উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যরা যাতে এই এলাকায় ঢুকতে না পারেন) আবেদন, সেইসাথে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদ সম্পর্কিত সমস্ত মুলতুবি মামলার বিচারে যোগদানের আবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এতে। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমানের পক্ষে মনীশ যাদবের দায়ের করা একটি পিটিশন💃 নিষ্পত্তি করার সময় এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি সলিল কুমার রাই আদেশ দেন, এ🥂ই আবেদনগুলির বিষয়ে ৪ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মথুরার নিম্ন আদালতকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মথুরার আদালতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি বিতর্ক সম্পর্কিত নয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে শাহি ইদগাহ মসজিদের পরিচালনা কমিটির আইনজীবী এবং সচিবের মতে, তাঁরা ছয়টি মামলায় সমন পেয়েছেন এবং সেই মামলাগুলিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই আবহে বিগত দিনে এই মন্দির সংলগ্ন 🐻শাহি ইদগাহ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাজমহলকে ঘিরে ‘তেজো মহালয়া’ তত্ত্ব 🍌কী? জানুন কীভাবে শুরু এই বিতর্কের
মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দিরের কাছে যে মসজিদটি আছে, তা হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সেই মসজিদ এলাকায় সমীক্ষার জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনরকে নিয়োগের পিটিশন দায়ের হয় আদালতে। এই একই ধরনের এক পিটিশনের ভিত্তিতেই কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা চলছে। উ𓂃ল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে মথুরার সিভিল জাজ কোর্টে এই মামলা চলছে। ভগবান কেশবদেব মন্দিরের তরফে পিটিশনে শাহি দরগা সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এলাকা শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি বলে দাবি করা হয়। মন্দিরের দাবি ১৩.৩৭ একর জমি তাদের।