২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছিল। এরপর মাঝে কয়েকটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে।সোমবার সুপ্রিম কোর্ܫটে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ প্রায় তিন বছর পরে বিষয়টি হাতে নিচ্ছে। ঠিক তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এনཧিয়ে হলফনামা জমা দিল।
সেই হলফনামায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ𝓀 জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে অভাবিত স্থিতাবস্থা, উন্নয়ন, অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। সেই পাথর ছোঁড়ার দিন এখন অতীত। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই হলফনামায় জানানো হয়েছে, তিন দশকের অশান্তির পরে কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে। স্কুল, কলেজ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই চলছে। গত তিন বছর ধরে এটাই দেখা যাচ্ছে। সেই বনধ, পাথর ছোঁড়া, বনধ এখন অতীতের বিষয়। হলফনামায় বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে পাথর ছোঁড়ার সেই ঘটনা আর হচ্ছে না।&n൲bsp;
সেই সঙ্গেই শিক্ষার অধিকার, তফশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই ধারার বিলোপের মাধ্যমে সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক বড় ধাক্কা💝 খেয়েছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্য়বস্থার সূচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কাউন্সিলের ভোট হচ্ছে।
এছাড়াও ধারা বিলোপের পরে, কাশ্মিরী, ডোগরি, উর্দু, হিন্দির মতꦆো ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসাবে বিবেচিꦓত হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি মেনেই এটা করা হয়েছে।
আসলে এই ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০টি পিটিশন জমা পড়েছে। ৩৭০ ধারা বিলো🍰পকে চ্যালেঞ্জ✤ জানিয়ে এই আবেদনপত্রগুলি এবার খতিয়ে দেখবে দেশের শীর্ষ আদালত। তার আগেই এনিয়ে হলফনামা জমা দিল। মোটের উপর ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পরে উপত্যকায় কতটা স্থিতাবস্থা ফিরেছে সেকথাই উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার সুপ্রিম কোর্ট এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
এদিকে এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে শেষবার শুনানি হয়েছিল। পাঁচজন বিচারকের𒁏 সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই সময় সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল যে বিষয়টি সাতজন ব✤িচারকের বেঞ্চে পাঠানোর দরকার নেই। তবে তারপরেও আবেদনকারীরা একাধিক রায়কে সামনে এনেছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনগুলি আনা হয়েছিল। মামলাটি দেশের শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে কাল উঠতে পারে🔯।