লৌহ আকরিক এবং ইস্পাতের রফতানির উপর শুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। লৌহ আকরিক এবং ইস্পাতের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করায় দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যের রফতানি খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। দুই কর্মকর্তার মতে, লৌহ আকরিক এবং ইস্পাতের উপর এই উচ্চ শুল্কের আর প্রয়োজন নেই কারণ এগুলির দাম এখন কমে গিয়েছে এবং সরবরাহের গ্রাফ চাহিদার গ্রাফকে ছাপিয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: এসি ৩ টায়ার ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর! এই পরিষে🐟বা চালু করছে রেল)
বিশ্ব বাজারে ইস্পাত এ🐈বং লৌহ আকরিকের চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশের ঘরোয়া বাজারে এগুলির সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তারা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ডেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং অন্যান্য পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশীয় নির্মাতারা যাতে লোহা এবং ইস্পাতের ঘাটতি না অনুভব করেন, তার জন্য গত ২২ মে অর্থ মন্ত্রক লোহা এবং ইস্পাতের ইনপুটের উপর যথাক্রমে ১৫ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত রফতানি শুল্ক আরোপ করেছিল।
মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। এই আবহে বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে সরকার ক্রমাগত শুল্ক সংশোধন করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, ভারতের রফতানির বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে এবং লৌহা আকরিক এবং ইস্পাতের উচ্চ রফতানি শুল্কের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন অনেকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী লৌহা আকরিকের রফতানি এপ্রিল-জুলাই সময়কালে ৬৯.১৪% কমে ৬৪২.৫৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২০৮২.১২ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে, লোহা ও ইস্পাত বেস রফতানিও চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২১.৩৩% কমে প্রায় ৬.১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এটা ৭.৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। এই আবহে রফতা🔯নি শুল্ক কমানোর জন্য আইটেম ধরে ধরে মূল্যায়ন করতে চলেছে সরকার। সেই সরকারি কর্তা জানান, সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে সরকারের তরফে।