উৎপল পরাশর
অসম হয়ে গত বছর কত গরু পাচারের চেষ্টা হয়েছিল তা নিয়ে এবার হিসেব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, গত বছর ১৩ হাজার গবাদিপশুকে বাং💙লাদেশে পাচারের জন্য় আনা হয়েছিল। সেগুলি কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করেছে। অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের বিধায়ক নজরুল হক এনিয়ে বিধানসভার বাজেট সেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে সব মিলিয়ে এই ঘটনায় ১৩২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০২২ সালে ভারত- বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সংক্রান্ত ১১৮১টি মামলা হয়েছে। শুধু অসমেই এই মামলাগুলি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬১২টি গাড়ি রয়েছে। ১৩২৬জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে সব মিলিয়ে ১৩,০০০ গবাদিপশু যেগুলি বাংলাদেশে পাচারের জন্য় আনা হয়েছিল সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধুবড়িতে এই ঘটনা সবথেকে বেশি হয়েছে। গত বছর ওই জেলাতেই অন্তত ৬১৭টি মামলা হয়েছে। জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপগুলি নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে স্থানীয় প্রতিনিধি ও বিএসএফের সঙ্গে মিটিং করার ব্য়াপারে ডেপুটি কমিশনার♕দের অনুরোধ করছি। অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে গিয়ে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার জেরে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেটඣা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের নানা নজির রয়েছে। তবে এই পাচার রুখতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও নানা উদ্যোগ নেয়। তবে শুধু বিএসএফ নয়, অসমের মতো রাজ্য🎃ে রাজ্য পুলিশও এনিয়ে কড়া নজর রাখে। রাজ্যের কোনও রুট দিয়ে গরু পাচার হচ্ছে কি না সেব্যাপারে পুলিশও নজর রাখে। তবে শুধু অসমেই নয়, বাংলার সীমান্ত পথে গরু পাচারের নানা নজির রয়েছে। ক🦹োচবিহার সীমান্ত পথে দলে দলে গরু পাচারের একাধিক অভিযোগ অতীতে ছিল।
এদিকে গরু পাচার নিয়ে মামলাও চলছে বাংলায়। সেই মামলায় বীরভূম♛ের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি ইডির হেফাজতে রয়েছে। গরু পাচারের মাধ্যমে বাংলায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগেরই কিনারা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।