আঠাশ বছরের অপেক্ষা শেষ। বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে বাবরি ধ্বংসের রায় দেবেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব। ৩২ অভিযুক্তের মধ্যে ২৬জন আদালতে উপস্থিত থাকবেন𓆉 বলে জানা গিয়েছে।
🌃কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে লখনউয়ের আদালত চত্বরকে। তবে উপস্থিত থাকবেন না বিজেপির চার বরিষ্ঠ নেতা ও এই মামলায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, কল্যান সিং ও উমা ভারতী। থাকবেন না নৃত্য গোপাল দাসও। ৩২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র, দাঙ্গা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা চলছে।
অভিয♐ুক🌊্ত ও দুই পক্ষের আইনজীবী ছাড়া অন্যরা থাকতে পারবেন না আদালতে। বর্তমানে কোভিড হওয়ায় আসতে পারবেন না কল্যান সিং ও উমা ভারতী। সদ্য করোনা থেকে সেরে ওঠায় আসবেন না নৃত্য গোপাল দাস।
গౠত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য রায় দেয়। ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু যেই জমিতে হচ্ছে সেই নির্মাণ, একদা সেখানে ছিল বাবরি মসজিদ। সেই মসজিদ ধ্বংসের মামলা এখনও চলছে। ৩২ অভিযুক্তের মধ্যে আছেন আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, কল্যান সিং, উমা ভারতী🔯 ও অন্যান্য়রা।
এ𝄹ই মাসের শুꦬরুতেই সমস্ত ৩২ জন অভিযুক্তের জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত। গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার রায় দেওয়ার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি বৃদ্ধি করে। গত বছরের ১৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল নয় মাসের মধ্যে রায় দিতে হবে সিবিআই আদালতকে। পরে অবশ্য সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয় বিচারকের আর্জিতে।
২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল এই মামলায় প্রতিদিন শুনানি করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০০১ -এ এলাহাবাদ হাইকোর্ট আডবানি সহ অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু এই রায় ভুল বলে অভিহিত করে ফের নতুন করে ফৌজদারি মামলা চালু করার জন্য সিবিআইয়ের আর্জ▨িতে সায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারা একথাও বলে যে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় বড় ধাক্কা বাবরি মসজিদের পতন।