বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার দেদার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাঠক্রম থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে ব𒈔ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি। এবার সংবিধান বদলের দাবি উঠেছে। সর্বসাধারণের ব্যবহৃত ভাষায় সেই সংবিধান লিখতে হবে নতুন করে বলে দাবি উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে। ‘সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ’ নামের ওই সম্মেলন থেকেই সে দাবি উঠল। আর এখানেই স্পষ্ট হচ্ছে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ ইসলামিক দেশ হয়ে উঠতে মুজিব–হাসিনার ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চাইছে বাংলাদেশ।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলে সূত্রের খবর। আর তারপরই বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান সংবি🍌ধান বিষয়ক মামলায় বাংলাদেশ হাইকোর্টে দাবি করেছেন, দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। সুতরাং বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির কোনও দরকার নেই। অথচ ১৯৭২ সালে মুজিবুর রহমান জমানায় যে সংবিধানে তৈরি হয়েছিল, সেখানে ‘জাতীয়তাবাদ’, ‘সমাজতন্ত্র’, ‘গণতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শꦺব্দগুলি ছিল। সেগুলি এখন বাদ দেওয়ার দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি এবং সিপিএম এসবের পিছনে রয়েছে’, কসবা কাণ্ডে কড়া আক্রমণ কল্যাণের
বেশ কিছুদিন আগে মহম্মদ ইউনুস বিদেশের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি সংস্কার করা হবে। আর এখন দেখা যাচ্ছে, সংস্কার বলতে সংবিধানই পাল্টে যেতে বসেছে। এই নিয়ে বাংলাদেশের বহু নাগরিকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘আমরা চাই এই সরকার মানুষের ভাষা বুঝুক। আমরা বারবার বলছি, এই সরকারের মূল লক্ষ্য হতে হবে জনগণের ক্ষমতা 𒉰জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। শেখ হাসিনা এত পাপ করেছে যে তারও বিচার হওয়া উ🤪চিত।’