করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এব꧅ং মৃত্যুর গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। শুক্রꦆবার তো দৈনিক আক্রান্তের শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশে। সেই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করা হল।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের সড়൩ক পরিবহনমন্ত্রী তথ🥂া শাসক দল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন যে দেশের সর্বত্র করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার জেরে করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে সোমবার থেকে বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হচ্ছে।
তবে লকডাউনের সময় জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।💃 পাশাপাশি কলকারখানাও খোলা থাকবে। কর্মীদের অবশ্য করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মেনে বিভিন্ন শিফটে কাজ করতে হবে। জনপ্রশাসনের রাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন বলেন, ‘এবারের লকডাউনের সময় প্রতিটি অফিস এবং আদালত বন্ধ থাকবে। কিন্তু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কলকারখানাগুলি।’ কিন্তু কলকারখানা বন্ধ থাকবে না কেন? জবাবে ফারহাদ বলেন, ‘আমরা যদি কলকারখানা বন্ধ রাখি, তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে কর্মীদের বাড়ি চলে যেতে হতে পারে।’
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে লাগাতার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেজন্য গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে ১৮ টি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়-সহ যে কোনও ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং শুক্রবার বাংলাদেশে ৬,৮৩০ জন নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা এখনও দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে সর্বোচ্চ। আর সেই রেকর্ড সংক্রমণের ফলে বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৪,৫৯৪। পাশাপাশি সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,১৫৫। সেই পরিস্থিতিতে এবার একেবারে লকডাউনের পথেই হ🅺াঁটল শেখ হাসিনার প্রশাসন।