👍 শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১৫২টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। খুন করা হয়েছে কমপক্ষে ২৩ জন হিন্দুকে। সংসদে এমনই জানাল ভারত সরকার। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার লোকসভা বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং বলেন, ‘গত দু'মাসে (২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে ৭৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা রিপোর্ট মিলেছে, তাতে অগস্ট থেকে বাংলাদেশে ২৩ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে এবং হিন্দু মন্দিরে ১৫২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।’ আর পুরো বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু নাগরিকদের জীবন সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারেরই। আর পুরো পরিস্থিতির উপরে ভারতীয় হাইকমিশন নজর রাখছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলা নিয়ে ভারত
𝔉তিনি বলেছেন, 'হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে ভারত সরকারের যে প্রত্যাশা আছে, তা ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে (ভারতের) বিদেশ সচিবের সফরের সময় জানানো হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় যে সংখ্যালঘুদের উপরে ৮৮টি হামলার ঘটনায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে ১,২৫৪টি ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।'
ঢাকা থেকে নজর রাখা হচ্ছে, জানাল ভারত
⛄সেইসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ-সহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হল বাংলাদেশ সরকারের। তিনি আরও বলেছেন, '(বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির উপরে লাগাতার নজর রেখে চলেছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন।'
বাংলাদেশে তাণ্ডব চলেছে বুধবার থেকে
ꦆআর ভারতের তরফে সেই পরিসংখ্যান এমন একটা সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলেছে। কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাসিনাদের সঙ্গে যোগ থাকা বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। সেই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দোষারোপ করেছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
𒈔বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, বুধবার রাতে হাসিনা যে ‘হিংসাত্মক’ ভাষণ দেন, তার জেরেই জনগণের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়। সেজন্যই মুজিবদের বাড়িতে ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতে বসে হাসিনা যাতে ভাষণ না দেন, তা নিয়ে নয়াদিল্লিকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার তরফে দাবি করা হয়েছে যে ভারত থেকে বারবার উস্কানিমূলক ভাষণ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।