চ্যালেঞ্জ ছিল বাজি ভর্তি বাক্সের ওপর বসতে হবে। আর ফাটানো হবে সেই বাজি। তাতে কেউ বসতে পারলেই তাকে দেওয়া হবে নতুন অটোরিক্সা। সেই অটোরিক্সার লোভে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জিততে গিয়ে নিজের জীবন হারালেন এক যুবক। বাজি ভর্তি একটি বাক্সের উপর বসে পড়েছিলেন ওই যুবক। আর বাজি ফাটতেই মৃত্যু হল যুবকের। দীপাবলির রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর কোনানকুন্ট এলাকায়। মৃত যুবকের নাম শবরিশ। এই ঘটনায় পুল𝔉িশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া🀅 হল যুবকের, গ্রেফতার🌌 ২
জানা যায়, বন্ধ♊ুদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার পর ওই যুবক বাজি ভর্তি বাক্সের ওপর বসে পড়েছিলেন। তারপর তার বন্ধুরা বাজি ধরিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বাজি ফাটার পরেই ধোঁয়ায় ভরে যায় জায়গাটি। এরপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শবরিশ। তখন তার বন্ধুরা স𓂃ঙ্গেসঙ্গে সেখানে ছুটে আসেন। তারা দেখেন অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে গিয়েছেন তিনি। এরপর তারা তড়িঘড়ি যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় সবরিশ এবং তার বন্ধুরা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। চিকিৎসা চলাকালীন ২ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় শবরিশের। ঘটনার পরেই বেঙ্গালুরু পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনার বলেছেন, ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পেশ করা হবে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার আরও তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান, শবরিশ কর্মহীন ছিলেন। তাই তিনি ভেনেছিলেন হয়তো চ্যালেঞ্জ জিতলে নতুন অটো পেয়ে আর্থিক আয়ের পথ তৈরি করতে পারবেন। তাই তিনি বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, সেই চ্যালেঞ্জ গ্🔯রহণ করায় কাল হল।
এদিকে, কর্ণাটকের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দিওয়ালির রাতে আতশবাজি সংক্রান্ত দুর্ঘটনার কারণে বেঙ্গালুরুতে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের বেঙ্গাജলুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশিরভাগই চোখে আঘাত পেয়েছেন। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, প্রবীণদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়েছে। অপর একটি ঘটনায় সড়কে আতশবাজির সময় অন্যদের দিকে বাজি ছোড়ার অভিযোগে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।