বরেণ্য অসমিয়া সাহিত্যিক প্রয়াত সৈয়দ আবদুল মালিককে ‘বুদ্ধিজীবী জেহাদি’ হিসেবে উল্লেখ করায় বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা।সম্প্রতি শোণিতপুর জেলায় এক সাম্প্রদায়িক হিংসাত্মক ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত হোজাইয়ের বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য অসম সাহিত্য সভার প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ আবদুল মালিককে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্যবাসীর রোষে পড়েছেন।তাঁরই দলের নেতা তথা অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের (AMDB) চেয়ারম্যান মুমিনুল আওয়াল বলেন, ‘মালিক সম্পর্কে দেবের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি এবং ওঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’প্রয়াত সাহিত্যিক সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য শিলাদিত্য দেবকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও প্ররোচনামূলক মন্তব্য প্রচার করে অসমে সাম্প্রদায়িক ঘৃণার আবহ তৈরি করা হচ্ছে। দেবের বিরুদ্ধে গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেসের সংক্যালঘু শাখাও। অসম বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত শইকিয়া তাঁর ভাষণে বলেন, ‘দেবের মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁর নিম্ন মানের মানসিকতা ও জ্ঞানের ্ভাব প্রকট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের কাছে আমার আর্জি, শিলাদিত্য দেবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অসমের মোরিগাঁও, বরপেটা ও ধুবরি জেলায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে সদাউ অসম গোরিয়া মোরিয়া দেশি জাতীয় পরিষদ। এ ছাড়া গুয়াহাটি শহরে তাঁর বিরুদ্ধে জোড়া অভিযোগ দায়ের করেছে সদাউ অসম গোরিয়া যুব ছাত্র পরিষদ এবং অসম সংগ্রামী যুব মঞ্চ।শিলাদিত্যর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন অসম সাহিত্য সভার সভাপতি তথা প্রাক্তন ডিজিপি কুলধর শইকিয়া। রাজ্যজুড়ে প্রবল ক্ষোভের মুখে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মন্তব্য ব্যাখ্যা করে শিলাদিত্য জানিয়েছেন, ‘যদি আমার ম্নতব্য কাউকে আঘাত করে থাকে, তা হলে আমি দুঃখিত। কখনই কাউকে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছৈা ছিল না এবং বিষয়টির এখানেই ইতি টানার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। বলতে চাই, এই মন্তব্য আমার ব্যক্তিগত অভিমত এবং এর সঙ্গে আমার দল ও সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিজজেপি থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিলেন শিলাদিত্য দেব। পরে দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে বুঝিয়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায়।