ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ইডির এক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার ঠিক পরেই একটি রেললা﷽ইন থেকে ওই ইডি অফিসারের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গত রবিবার গাজিয়াবাদের রেল রেললাইন থেকে ওই অফিসারের খণ্ড খণ্ড দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ইডি অফিসারের নাম অলোক কুমার পঙ্কজ (৫১)। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথꦗমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটি আইআಌইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ༺ছাত্রীর দেহ, তদন্তে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা মনে করা হলেও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, ইডি অফিসারের পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দা🅠য়ের করেনি। দিল্লিতে ইডি অফিসে ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন পঙ্কজ। তবে এই মাসের শুরুতে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সন্দীপ সিংকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পঙ্কজ। রাজ নগরের বাসিন্দা এই অফিসারের নাম সিবিআইয়ের এফআইআরে সহ-অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অগস্ট থেকে পঙ্কজ নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। তারপꦦরই নন্দগ্রাম থানায় পরিবারের তরফ নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর রেললাইনে তাঁর মুণ্ডু কাটা দেহ উদ্ধার হয়। অফিসারের পরিবার তাঁকে ২০ অগস্ট শনাক্ত করে।
রেলওয়ে থানার সার্কেল অফিসার সুদেশ গুপ্তা জানিয়েছেন, ওই দিন দুপুর ২ টোর দিকে গোশা𓆏লা ক্রসিংয়ের কাছে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অফিসারের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং একটি সাদা পাতায় লেখা নাম ঠিকানা পাওয়া যায়। সেই সূত্রেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
সার্কেল অফিসার জানান, ময়নাত🉐দন্তের পর দেহ শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যে অফিসার মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। তবে পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে বেশি কিছু বলছেন না। তাঁ🥀রা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে তাঁরা জানান, সকালে হাঁটতে বেরিয়ে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পুলিশের অনুমান, ট্রেন আসার আগেই অফিসার রেল লাইনে মাথা রেখে শুয়েছিলেন। যার ফলে মুণ্ডু শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।