সুনকের জায়গা নিতে পারেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির গদির লড়াইয়ে, এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল। মুখোমুখি দাঁড়াবেন পাঁচ প্রার্থীর বিপক্ষে। ব্রিটেনে সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয়ের পর সরকার গঠন করেছে ল♛েবার পার্টি। এরই মধ্যে আবার হাউস অব কমন্সে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার লড়াই শুরু হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবর, কনজারভেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দুই দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ নভেম্বর ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা🤪 হবে। ততদিন পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারপর ভোটের মাধ্যমে পার্টির নতুন নেতা বা নেত্রী নির্বাচিত হলে, তিনি স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। আর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী প্রীতি প্যাটেল প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি এই দৌড়ে যোগ দিয়েছেন।
প্রীতির পাশাপাশি লড়বেন এই প্রার্থীরা
সোমবার অর্থাৎ ২৯ তারিখ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দলের নেতৃত্বে ঋষি সুনকের গদি নিজের করে নেওয়ার জন্য মোট ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সুনক এবং প্যাটেল ছাড়াও, প্রাক্তন হোম সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি, নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ক্যামি বেডনচ, প্রাক্তন নিরাপত্তা মন্๊ত্রী টম টুগেনহাট, মেল স্ট্রাইড এবং প্রাক্তন ইমিগ্রেশন সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিকও বিরোধী দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে থাকবেন। আশা করা হয়েছিল যে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। কিন্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমর্থক থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহুর্তে সরে এসেছেন তিনি। কারণ হিসাবে জানিয়েছেন যে দলের কেউই তাঁর সঙ্গে সহমত হন না, তাই প্রার্থীতা করার কোনও মানেই হয় না।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ-ভারতীয় নেতা সুনকের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি এই মাসের শুরুতেই ঐতিহাসিক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। ৪ জুলাই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ক্ষমতা হারিয়েও, নির্বাচনের পর দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি সুনক। তিনি আপাতত সংসদে বিরোধী দলের নেতা। যদিও গদি এখন নতুন লিডারের অপেক্ষায়। আর সুনকের এই হারকেই নিজের জয়ের চাবিকাঠি বানিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী প্রীতি। তাঁর নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টিকে আবারও নির্বাচনে বিজয়𓃲ীর আসনে বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রীতিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমর্থক বলেও মনে করা হয়
প্রীতি♊ প্যাটেল ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো উইথাম, এসেক্সের কনজারভেটিভ এমপি হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের জুনে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একতরফা প্রতিবেদনের জন্য বিবিসি-এর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই সময়ে তিনি ভারতে তুমুল আলোচিত হন। প্রীতি গুজরাটি বংশোদ্ভূত এবং তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমর্থক বলেও মনে করা হয়।
প্রীতির জন্ম ১৯৭২ সালের ২৯ মার্চ, লন্ডনেই। তাঁর বাবা-মা ১৯৬০-এর দশকে উগান্ডা থেকে ব্রিটেনে চলে এসেছিলেন। প্রীত🌞ি কিলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস। প্রীতি প্যাটেল বরিস জনসন শিবিরের নেত্রী। বরিস জনসন♕ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রীতি। প্রীতি প্যাটেলের কাছে ডানপন্থীদের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: (15th August Government Employees Holiday: 'জলে♊ গেল' ১৫ অগস্টের ছুটি, কর্মীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশ সরকারের)
এইভাবে নতুন নেতা নির্বাচন করবে কনজারভেটিভ পার্টি
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে সংসদীয় দল হাস্টিং এবং ব্যালটের মাধ্যমে ছয় জন প্রার্থীকে চার জন প্রার্থীতে নামিয়ে আনবেন। সেপ্টেম্বরের শেষে বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টি কনফারেন্সে, দলীয় সদস্যদের🅰 কাছে নিজেদের নেতা হওয়ার যোগ্যতা তুলে ধরবেন বাকি চারজন। এরপর আরও একবার সংসদীয় হাস্টিং এবং ব্যালটে, চূড়ান্ত করা হবে দুই প্রার্থীকে। অবশেষে অনলাইন ব্যালটে ভোট দিয়ে ওই দুই প্রার্থীর মধ্যে নেতা নির্বাচন করবেন দলীয় সদস্যরা।