স্নেহাশিস রায়সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর ব্যবসায়ী প্রদীপ এসের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। এটা তাদের পারিবারিক কোনও সমস্যার জেরে হতে পারে। এদিকে ব্যবসায়ীj স্ত্রী নমিতা এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা কোনও সিভিল ডিসপিউট হতে পারে।পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখছে। এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। তিনি( বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি) গোটা ব্যাপারটি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার নেই। আমার মনে হচ্ছে তিনি সবটাই পরিষ্কার করেছেন।এদিকে ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী নিজেকেই নিজে গুলি চালিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সমস্যার জেরে তিতিবিরক্ত হয়ে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সুইসাইড নোটে ৬জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তার মধ্যে বিধায়ক লিম্বাভালির নাম ছিল। ওই বিধায়ক নাকি তাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন বলে নোটে দাবি করেছিলেন।এদিকে ব্যবসায়ীর স্ত্রী এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করার পরে ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এদিকে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে কর্নাটকের অন্দরে। বিধায়ক ছাড়া আরও যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল সেগুলি হল জয়রাম রেড্ডি, জি রমেশ রেড্ডি, রাঘব ভাট, গোপী কে, ও সোমাইয়া কে।তবে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি প্রদীপকে চিনতেন।তবে ওই চিঠিতে বিধায়কের বিরুদ্ধে যে প্ররোচনার অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা তিনি মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, ওই ব্যবসায়ী আগে একটি সোশ্য়াল মিডিয়া টিমের অংশ ছিলেন। তার সূত্র ধরেই তিনি ওই ব্যবসায়ীকে চিনতেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নয়।তবে তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই ওই ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করা শুরু করেছেন। সুইসাইড নোটটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি তিনি নিজে লিখেছিলেন কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে সুইসাইড নোটে যে ৬জনের নাম লেখা হয়েছিল তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য যাবতীয় দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।