✱ সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই সমস্ত হামলার ঘটনায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। ঠিক সেই আবহে কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নারের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯-এর ৫৫ ধারার সংশোধন করে লেফট্যানেন্ট গভর্নারের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: 🌌অভিনবভাবে সন্ত্রাস দমনে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার-J&K র জঙ্গি হানা নিয়ে সাফ কথা শাহের
💛 সংশোধনী অনুযায়ী, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা, সর্বভারতীয় পরিষেবা, দুর্নীতি দমন সেল ইত্যাদি বিষয়ে লেফট্যানেন্ট গভর্নারের অনুমোদন নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য রাজ্যের অর্থ বিভাগের অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই। এছাড়াও, অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং লিগ্যাল অফিসারদের নিয়োগ শুধুমাত্র লেফট্যানেন্ট গভর্নারের অনুমোদনেই করতে হবে। পাশাপাশি কারাগার, প্রসিকিউশন ডিরেক্টরেট এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি সম্পর্কিত বিষয়গুলিও জানাতে হবে।
🐓 সংশোধনীতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের প্রশাসনিক সচিবদের নিয়োগ, বদলি এবং ক্যাডার নিয়োগ শুধুমাত্র রাজ্যপালের অনুমোদনের মাধ্যমে করা হবে। সেক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, এ বছরই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই এই সংশোধনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিরোধীরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনটি ২০২০ সালের অগস্টে কার্যকর হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়মেও সংশোধন আনা হয়েছে।