হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে জমা করা এক হলফনামায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। যেসব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যা অন্যান্য সম্প্রদায়ের তুলনায় কম, সেই রাজ্যে সরকার চাইলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিতে পারে। উল্লেখ্য, মামলাকারীর দাবি, দেশের ন'টি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু।
রবিবার সন্ধ্যায় একটি হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার খ্রিস্টান, শিখ, মুসলিম, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন নামে ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করতে পারে যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে। উদাহরণ স্বরূপ কেন্দ্র বলে, ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল। কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালায়লাম, 🍌মারাঠি, টুলু, লামানি, হিন্দি, কোঙ্কনি এবং গুজরাটিকে সংখ🍌্যালঘু ভাষা তকমা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এই প্রেক্ষিতে একটি আবেদন দায়ের করে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্🐻জ করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায় - মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। যদিও উপাধ্যায়ের আবেদন অনুসারে, দেশের ৯টি রাজ্যে সংখ্যালঘু হিন্দুরা।