মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণ কর্মসূচিতে? এনিয়ে যে সমস্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলিকে মিথ্যা ও বিপথচালিত বলে উল্লেখ করল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, অসম্পূর্ণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই খবর করা হয়েছে। ভারত সরকারের বার্তায় জানানো হয়েছে, কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন জাতীয় ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে দেওয়া হচ্ছে। তবে এটা মিথ্যা ও বিপথচালিত ও অসম্পূর্ণ বলে সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। এদিকে আগের রিপোর্টগুলিকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। ইতিমধ্যেই ১৫ -১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সন্তানদের ভ্য়াকসিন দেওয়া কতটা নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকরা। তবে এবার একেবারে বিবৃতি জারি করে সেই উদ্বেগের নিরসন করল ভারত সরকার। সরকারের তরফে বেশ জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধির ব্য়াপারে গত বছর অক্টোবর মাসেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অনুমোদন দিয়েছিল। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ভারতীয় ভার্সান কোভিশিল্ডের মেয়াদও ২০২১এর ফেব্রুয়ারিতে ৬ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৯ মাস করা হয়েছে। পাশাপাশি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা বিশেষ পরীক্ষা, পর্যালোচনা করার পরেই ভ্যাকসিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ভারত বায়োটেক আগেই জানিয়েছিল নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনকী সম্প্রতি তারা একথাও জানিয়েছে যে ভ্যাকসিনের খুলে ফেলা ভায়াল ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৮ দিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া যাবে। এগুলিকে ওই দিনই নষ্ট করে দেওয়ার দরকার নেই।