বাংলাদেশ, শ্র♌ীলঙ্কা, মালদ্বীপের সরকারকে পাত্তা না দিয়েই সেই দেশগুলি বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে ভꦉারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের ছক কষছে চিন। ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তার করার জন্য বহু বছর ধরেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের মতো দেশগুলিকে নিজেদের দিকে টানতে চাইছে চিন। কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও এই দেশগুলি ঐতিহাসিক ভাবে ভারতের বন্ধু। তাই এখন সেদেশগুলির সরকারকে বাইপাস করে নয়া কৌশল অবলম্বন করছে বেজিং।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর ভারত মহাসাগর অঞ্চল নিয়ে কু𒀰নমিঙে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিল চিনের ‘চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি’। চিনা মিডিয়ার দাবি, এই এজেন্সির উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উন্নয়ন। তবে আদতে চিনপন্থী বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে এই চিন এজেন্সি। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ🐟্কার মতো দেশগুলির সরকারি কোনও কর্তাকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও, সেই দেশের চিনপন্থী বিভিন্ন ব্যক্তিরা এই বৈঠকে অংশ নেন।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, মাদাগাস্কারের মতো দেশের সরকারকে এই বৈঠকের বিষয়ে অবগত করেনি চিন। এদ💙িকে মালদ্বীপ সরকারকে এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা এতে অংশ নিতে অস্বীকার করে। তবে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে অংশ নেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ। তিনি চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। নিজের ক্ষমতাকালে ভারতীয় সংস্থা জিএমআর-কে বিমানবন্দরের অপারেশন থেকে বের করে দিয়েছিলেন ওয়াহিদ। এদিকে বাংলাদেশ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন সহকারী অধ্যাপক তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডঃ কে এম আজম চৌধুরী। এদিকে পাকিস্♋তান এবং মায়ানমারের তরফে সরকারি আধিকারিকরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে বৈঠকে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড। তিনি চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তাঁর সময়কালে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া কোয়াড-এ যোগ দিতে অস্বীকার করে। এদিকে ভারতের সঙ্গে মালাবার নৌ অনুশীলনেও ভাগ নেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের প্রভাবকে টেক্কা দিতে এই বৈঠক করা হলেও আদতে এই বৈঠকে সেভাবে কোনও সরকারি প্রতিনিধিত্ব ছিল না বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি থেকে। এই অনুষ্ঠানটি আদতে শি জিনপিংয়ের উচ্চাকাঙ্খার একটি নিদর্শন ছিল। তবে এতে চিনের জন্য কূটনৈতিক কোনও সাফল্য আসেনি। বরং ভারতী বিরোধী তথা চিনপন্থী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে একমঞ্চে আনতে সক্ষম হয়েছে চ♕িন। তবে এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের কোনও দেশকেই সেই অর্থে প্রভাবিত করতে পারেনি বেজিং।