উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নিহত নিগৃহীতাকে যে জায়গায় কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানো হয়েছিল, সেখানেই আর এক মহিলার শ্লীলত🍌াহানির চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলি🐼শের সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ আক্রান্ত মহিলার।
উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন দেখা দিলেও হেলদোল নেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। গত বৃহস্পতিবার হিন্দুপুর গ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একদ🦋ল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, শনিবার এই নিয়ে ꦿপুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁকে শুনতে হয়, ‘ধর্ষণ তো হয়নি, হলে আসবেন।’
নিগৃহীতার অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে গ্রামে🤡রই তিন বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, ‘ওযুধ কিনতে যাওয়ার পথে ওরা আমাকে দাঁড় করায়। তার পর আমার পোশাক ধরে টানাটানি শুরু করে। ওরা আমাকে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে।’
মহিলার দাবি, বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মী তা🐻ঁকে সহায়তা করেননি। গত তিন মাস ধরে থানায় ধরনা দিয়েও তিনি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরে আমি ১০৯০ নম্বরে (নারী সহায়তাকারী হেল্পলাইন) ফোন ক꧙রলে আমাকে ১০০ নম্বরে ডায়াল করতে বলা হয় এবং উন্নাও পুলিশক🐻ে বিষয়টি জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।’
মহিলার আরও দাবি, ওই তিন দুষ্কৃতী তাঁকে🦹 নিয়মিত ‘অভিযোগ জানালে খুন করা হব൲ে’ বলে হুমকি দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার কুখ্যাত উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নিগৃহীতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। লখনউ এবং পরে দিল্♚লির সফদকজং হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার জেরে দোষীদের ফাঁসির দাবির পাশাপাশি পুলিশি নিষ্ক্রিয়🐽তার সমালোচনায় উত্তাল হয়েছে দেশ। তবে তবে তাতেও যে হুঁশ ফেরেনি উন্নাও পুলিশের,🌜 তা বোঝাই যাচ্ছে।