এবারে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। তারপরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছে অধীরকে। বর্তমানে তিনি শুধু সর্বভারতীয় কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তবে ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে 🅰অধীরের উপরে আস্থা রেখেছে কংগ্রেস🌟। তাই ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের আগে অধীরকে বড় দায়িত্ব দিল দল। আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে তিনজন পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: প🥃্রতিবাদের সভা থেকেই কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার অধীরಌের, মেজাজ হারালেন নেতা
ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের তিন সিনিয়র নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালের জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লোকসভার সদস্য তারিক আনোয়ার, প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং ভাট্টি বিক্রমার্ক মাল্লুকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সিনিয়র পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিকেও হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং তেলাঙ্গানার ভোটে পর্য𓄧বেক্ষক করেছিল কংগ্রেস। তখন দল ভালো ফল পেয়েছিল। তাই এবার অধীরকে অন্য রাজ্যের দায়িত্বে দিয়ে তাঁর নির্বাচনী কৌশলকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ওড়িশার মতোই ঝাড়খণ্ডকে নিজেদের দখলে করতে চাইছে বিজেপি। এর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যটিতে বাংলার নেতা𓆏দের সক্রিয় করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে বিজেপি মূল দায়িত্ব দিলেও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেখানে সক্রিয় হয়ে দলের জন্য কাজ করছেন।
🌠আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ঝাড়খণ্ডে দুই দ💎ফায় ভোট, ফলাফল প্রকাশিত হবে ২৩ নভেম্বর। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলি নির্বাচনের জন্য নিজেদের কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।
ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস বলেছে তারা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর সঙ্গে জোট করে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীঘ্র🌟ই নেওয়া হবে বলে বলে জানানো হয়েছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস কমিটির রাজ্য সভাপতি কেশব মাহাতো বলেছেন, ‘আমরা রাজ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। দ্রুত আসন ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আমাদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিতে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’