দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় উমর খালিদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। প্রাক্তন ছাত্রনেতার পাশাপাশি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অপর এক প্রাক্তন পড়ুযা শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের এজলাসে ৯৩০ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উমর, শারজিল ছাড়াও ফয়জান খান নামে একজনের নাম আছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত, ধর্ম-ভাষা-বর্ণ ইত্যাদির ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়ানো-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা চাপানো হয়েছে।সূত্রের খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১০৯ ধারা (প্ররোচনা), ১১৪ (যাঁরা প্ররোচনা দিয়েছিলেন, তাঁরা অপরাধের সময় উপস্থিত), ১২৪ এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৪৭ এবং ১৪৮ (হিংসা) ধারায় তিনজনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারা (বেআইনি কার্যকলাপ), ১৬ (সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপ), ১৭ (সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপ অর্থ সংগ্রহ) এবং ১৮ ধারাও (ষড়যন্ত্র) আছে। এছাড়াও তিনজনের বিরুদ্ধে আরও একাধিক ধারা চাপানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।আপাতত সেই মামলায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন উমর এবং শারজিল। ফয়জানের জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। গত সেপ্টেম্বরে মূল চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। তাতে পিঞ্জরা তোড়ের সদস্য এবং জেএনইউয়ের পড়ুয়া দেবাঙ্গনা কলিতা ও নাতাশা নারওয়াল এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আসিফ ইকবাল তানহার নাম ছিল। তাছাড়াও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার সফুরা জারগার, মীরান হায়দার, শিফা-উর-রেহমান-সহ অনেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল।