বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে অর্থ বকেয়া আছে। সেজন্য ও'পাওয়ার এক্সচেঞ্জ' থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি বা কেনার ক্ষেত্রে ১৩ টি রাজ্যের ২৭ টি বণ্টনকারী সংস্থার (ডিসকম) উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেন্দ্র। তার জেরে ওই রাজ্যগুলিতে প্রবল বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে অবশ্য ছ'টি রাজ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বৃহস্পতিবার পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কো-অপারেশন লিমিটেডের তরফে ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ, পাওয়ার এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া এবং হিন্দুস্তান পাওয়ার এক্সচেঞ্জকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, তামিলনাডু়, বিহার, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড-সহ ১৩ টি রাজ্যের ২৭ টি বণ♏্টনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কো-অপারেশন লিমিটেড। অর্থাৎ আজ (১৯ অগস্ট) থেকে ওই সংস্থাগুলি 🌌'পাওয়ার এক্সচেঞ্জ' থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে বা কিনতে পারবে না।
কোন রাজ্যের ডিসকমের কত টাকা বাকি আছে?
মধ্যপ্রদেশের সংস্থাগুলির ২২৯.১১ কোটি টাকা, তেলাঙ্গানার ১,৩৮০.৯৬ কোটি টাকা, রাজস্থানের ৫০০.৬৬ কোটি টাকা, মহারাষ্ট্রের ৩৮১.৬৬ টাকা, কর্ণাটকের ৩৫৫.২ কোটি টাকা, অন্ধ্রপ্রদেশের ৪১২.৬৯ কোটি টাকা, তামিলনাড়ুর ৯২৬.১৬ টাকা, ঝাড়খণ্ডের ২১৪.৪৭ কোটি টাকা, বিহারের ১৭৩.৫ কোটি টাকা, ছত্তিশগড়ের ২৭.৪৯ কোটি টাকা, জম্মু ও কাশ্মীরের ৪৩৪.৮১ কোটি টাকা, মণিপুরের ২৯.৯৪ কোটি টাকা এবং মিজোরামের ১৭.২৩ কোটি ট෴াকা বকেয়া আছে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানিয়েছিলেন, এই প্রথম এতগুলি সংস্থা ডিসকমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল। আগে সেই সংখ্যাটা অনেক কম ছিল।
সেই পরিস্থিতিতে ওই রাজ্যগুলিতে বিদ্য𝓀ুৎ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই আশঙ্কার আবহেই কয়েকটি রাজ্যের তরফে দা🍃বি করা হয়, ওই ডিসকমগুলির তরফে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত কেন্দ্রের তালিকায় নয়া তথ্য ওঠেনি। কয়েকটি রাজ্যের তরফে তড়িঘড়ি মিটিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতেই মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মণিপুর এবং ছত্তিশগড়ের ডিসকমগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলির উপর এখনও নিষেধাজ্ঞা বজায় আছে।