ফের একবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ঘটেছে জিন্দ-দিল্লি লোকাল ট্রেনে। সোমবার বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ জিন্দ-দিল্লি লোকাল ট্রেনে একটি বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়। এর জেরে তিনজন যাত্রী অল্প জখম হন। এদিকে বিস্ফোরণের জেরে কামরার কিছুটা অংশে আগুন লেগে যায়। এই আবহে প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। বর্তমানে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিটের কাণেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি যখন হরিয়ানার সাম্পলা স্টেশন অতিক্রম করে তখনই ট্রেনের এক কামরার মধ্যে ঘটে যায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। (আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আতশবাজি দুর্ঘটনা মন্দিরে, আহত ১৫০,𒊎 ৮ জনের অবস্থা সঙ্কট♛জনক)
আরও পড়ুন: 'সরকারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছেন SEBI প্রধান', আদানিক🍌ে টেনে বিস্ফোরক মহুয়া
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রেনের এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বাহাদুরগড়ের দিকে যেতে হঠাৎ একটি কামরায় বিস্ফোরণ হয়। সেই সঙ্গে ট্রেনের বগিতে আগুন লেগে যায়। চারিদিকে দাউদাউ করতে জ্বলতে থাকে আগুন। ওই কামরার যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেইসময় চলন্ত ট্রেন থেকে কয়েকজন যাত্রীও নেমেও পড়েন।' এদিকে ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। আহত যাত্রীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে বাহাদুরগড়ের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানান, ট্রেনের একটি ইলকট্রিকাল যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। সেখান থেকে ফুলকি বের হচ্ছিল। এদিকে ট্রেনে করে বাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন কেউ। সেই ফুলকি বাজিতে পড়তেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কামরা সব যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় দুই যাত্রী জানান, তাঁদের সিটের উপরে যেখানে ব্যাগ রাখা হয় সেখানের কোনও ব্যাগে হয়তো আতশবাজি রাখা ছিল। (আরও পড়ুন: 'মার্কসবাদ দিয়ে মহিলার ওপর অত্যাচার চাপা দেও🦋য়া যাবে না', তন্ময়কে কটাক্ষ মদনের)
আরও পড়ুন: 'এবার রাত দখল করবেন তো…',🌱 তন্মಞয়কাণ্ডে আরজি কর প্রতিবাদীদের 'খোঁচা' সায়ন্তিকার?
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চ মাসে দানাপুর থেকে লোকমান্য তিলক যাওয়ার পথে দানাপুর-এলটিটি স্পেশাল ট্রেনের একটি এসি বগিতে হঠাৎ আগুন ধরে গিয়েছিল। এর আগে দিল্লি থেকে দ্বারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায় সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন ১০ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার 😼১০ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের স্লিপার কোচে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ইটাওয়ারই মৈনপুরী জংশনে। গভীর রাতে নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই সময় অনেক যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল♓েন ১৯ জন যাত্রী।
এর আগে গত ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেই একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালেই আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩-এর ১৭ জুলাই ভোরে। মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ꧙্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল।