দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা রুজু করা হয়েছে।যে মামলায় উমরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটির তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তাতে গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিক’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে হিংসাত্মক ঘটনায় কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং আহত হয়েছিলেন ৪০০ জনের মতো মানুষ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তারপর রাতের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ পুলিশকর্তা বলেন, ‘রবিবার রাতের দিকে আমরা উমর খালিদকে গ্রেফতার করেছি।’ তবে সে বিষয়ে আর কোনও তথ্য জানাননি তিনি। সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর উমরকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। আজ (সোমবার) তাঁকে আদালতে তোলা হবে।গত মাসে স্পেশাল সেল আদালতে জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের ঠিক আগে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রাক্তন কাউন্সিলর তাহির হুসেন এবং খালিদ সইফির সঙ্গে হিংসার ষড়যন্ত্র করেছিলেন উমর। কমপক্ষে চারটি চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, দাঙ্গার ছক তৈরির জন্য গত ৮ জানুয়ারি শাহিনবাগের ধরনায় তাহির এবং সইফির সঙ্গে দেখা করেছিলেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র।দিল্লি দাঙ্গায় যোগ থাকার অভিযোগে ৩১ জুলাই উমরকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সফরের আগে দুটি ভিন্ন জায়গায় প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল উমরের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সফরের সময় উমর মানুষকে রাস্তায় নামা এবং রাস্তা আটকানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।’যদিও আগেকার বিবৃতিতে সেইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন উমর। তারইমধ্যে গত দু'মাসে দু'বার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দাঙ্গা যোগে ২ সেপ্টেম্বর উমরকে দু'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাহির হুসেন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মীরান হায়দার, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সফুরা জারগার এবং পিঞ্জরা তোড়ের কর্মী নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা-সহ আটজনের বেশি মানুষকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের অবশ্য অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পরিচিত মুখ হওয়ার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।